দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল।
ঘরে বসে পর্যালোচনা রিপোর্ট নয়। ময়দানে নেমে হাতে-কলমে বুঝতে হবে পরিস্থিতি। সেই লক্ষ্যে নামছেন ৪৬ জন ডব্লিউবিসিএস অফিসার। থাকছেন কিছু আইএএস অফিসারও (প্রবেশনার)। মাঠে নেমে প্রকৃত চিত্র যাচাই করবেন জেলাশাসকও। কর্মসূচির পোশাকি নাম ‘পরিদর্শন অভিযান’। আজ, শুক্রবার থেকে চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এই নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল।
নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস পরিদর্শন বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া ১০০ দিনের কাজ, সরকার পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, রেশন দোকান, গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গীতাঞ্জলি বা বাংলা আবাস যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের মধ্যে যে-কোনও পাঁচটি পরিদর্শন করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে। পুর এলাকায় সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্প, হাসপাতাল, একটি ওয়ার্ডের কমিউনিটি বা সুলভ শৌচালয়ও রয়েছে পরিদর্শনের তালিকায়। নির্দেশিকায় নভেম্বরের প্রথম ১৫ দিনের জন্য এই অভিযানের কথা বলা হলেও তা আগামী মাসগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে চলবে বলে জানান জেলাশাসক। নভেম্বরের প্রথম ১৫ দিনের পরিদর্শনের রিপোর্ট ১৯ নভেম্বরের মধ্যে তৈরি করতে হবে। ২১ নভেম্বর সেই বিষয়ে ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ উপস্থাপনা করতে হবে।
কোন পঞ্চায়েত বা কোন পুর এলাকায় অফিসারেরা যাবেন, তার তালিকাও দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি বুঝতে কেন নামছেন অফিসারেরা? ডিএম বলেন, ‘‘সরাসরি অফিসারেরা ফিল্ডে গেলে প্রকল্পের গুণমান ভাল হবে। পর্যালোচনা বৈঠকে প্রকল্পগুলি নিয়ে আরও ভাল ভাবে আলোচনা করা যাবে। মানুষের সঙ্গে কথা বললে প্রকল্প নিয়ে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধাও বোঝা যাবে।’’
কয়েক দিন আগে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক এবং অন্য অফিসারদের আমজনতার কথা বোঝার জন্য খাটিয়ায় বসার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকে অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই পরামর্শের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের অভিযানের সরাসরি সম্পর্ক না-থাকলেও পরোক্ষে কাজ করছে তাঁর সেই পরামর্শই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy