নদীপথে টহল দিচ্ছে বিএসএফ। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশে অশান্তির জেরে এ রাজ্যে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেড়েছে। গোলমাল ছড়ানোর ভয়ও আছে। একটি মহলের আশঙ্কা যে, সব এলাকায় কাঁটাতার নেই এবং জল-সীমান্ত দিয়ে নজরদারির ফাঁকে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। কিন্তু সুন্দরবনের জলপথ নিয়ে চিন্তা থাকছেই। তবে সেখানে বিএসএফ, পুলিশ, বন দফতর-সহ প্রায় সবারই নজরদারি বেড়েছে।
বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন সংলগ্ন নদীপথে স্পিডবোট, যন্ত্রচালিত নৌকা, জাহাজ নিয়ে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে বিএসএফকে। সুন্দরবনের খাঁড়িপথে বনরক্ষীরা যন্ত্রচালিত নৌকায় পাহারা দিচ্ছেন।
সুন্দরবন পুলিশ জেলা ও ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে বুধবার নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীপথে তল্লাশি চলেছে। এই নদীপথে পারাপার করে বাংলাদেশের ছাইবোঝাই জাহাজ। এ দিন যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের জাহাজেও তল্লাশি চালানো হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের জল-সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাক্ট টহল দিচ্ছে।
বিভিন্ন নদী সংলগ্ন বসতি এলাকাতেও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ বাজারের কাছে ইছামতীর পাশে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় করেন স্থানীয়েরা। তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “বিএসএফের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন নদীবাঁধের উপরে না যায়।” হেমনগর থানার সামসেরনগর জিরো পয়েন্ট এলাকাতেও বিএসএফের নজরদারি বেড়েছে। কালিন্দী নদীতে দিন-রাত নৌকায় বিএসএফের টহল চলছে। সীমান্তরক্ষীদের সুত্রে জানা গিয়েছে, নজরদারিতে নাইটভিশন ক্যামেরা-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ বিশ্বাস জানান, আগে কালিন্দী নদীতে অনেকে মাছ ধরতেন। গত কয়েক দিন ধরে নদীতে কাউকে নামতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্তের পাশে যাঁদের বাড়ি, রাত ৮টার মধ্যে তাঁদের ঘরে ফিরতে বলা হচ্ছে। গ্রামের ভিতরে সিভিক ভলান্টিয়াররা নজরদারি চালাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy