মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বিএসএফ সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ‘বিশেষ ধরনের কার্ড’ নিতে বাধ্য করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক জেলা সফরে বারবার অভিযোগ করছেন। বুধবার বিএসএফ প্রেস বিবৃতি দিয়ে সেই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করল। এনআরসি নিয়ে বিএসএফকে জড়িয়ে যে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা-ও খারিজ করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, এমনই একটি ‘কার্ড’ ছিল শিলিগুড়ির বৈঠকে প্রশাসনের কর্তাদের হাতে। তার আগে-পরে তো বটেই, বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী এ দিনও বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে সীমান্ত রয়েছে। বিএসএফ সেখানে অত্যাচার করে। গুলি করে। মানুষ মারে। এখন বলছে কার্ড নিতে হবে। আধার কার্ড আছে, ভোটার কার্ড আছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-সহ অনেক কার্ড আছে। ওদের (বিএসএফের) আসল পরিকল্পনা, কার্ডগুলি করিয়ে নিয়ে এনআরসি করে দেশ থেকে তাড়াবার চেষ্টা।” তিনি বলেন, “জেলাশাসককে নির্দেশ দিচ্ছি, আপনারা বিডিওদের নির্দেশ দেবেন। কার্ড নেবেন না।’’
মালদহতেও মমতা বলেন, “আমি শুনেছি, সীমান্তে সীমান্তে বিএসএফ অত্যাচার করছে এবং তারা একটা নতুন কার্ড করেছে। এটা তাদের করার কথা নয়।’’ সেখানেও তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফের কার্ড করা মানে, আপনাদের নাম ওরা লিখে রাখছে, যাতে এনআরসি হলে তাড়াতাড়ি আপনাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দিতে পারে।’’ দুই জায়গাতেই তিনি প্রয়োজনে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করারও পরামর্শ দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের উল্লেখ করে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি এ কে আর্য একটি প্রেস বিবৃতিতে জানান, ‘‘বিএসএফ কোনও পরিচয়পত্র দেয় না। এনআরসি পরিচালনার সঙ্গে বিএসএফের কোনও সম্পর্ক নেই। বিএসএফ হল একটি পেশাদার সীমান্তরক্ষী বাহিনী, যারা শুধু ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষা করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy