এই কলেজের গেটের সামনেই অশান্তি হয়।—ফাইল চিত্র।
কান্দি-ধুলিয়ান-সাগরদিঘি ঘুরে এ বার ‘জয় শ্রীরামের’ বাহুবলী ঝাঁঝ লাগল জিয়াগঞ্জে। আর সেই উত্তাপ গড়াল তৃণমূল-বিজেপি’র সংঘর্ষে। ওই ঘটনার পরে, মঙ্গলবার দুপুরে জিয়াগঞ্জের রানি ধন্যাকুমারী কলেজের সামনে প্রধান সড়কের উপর মোতায়েন করা হল পুলিশ।
তৃণমূলের দাবি, এ দিন দুপুরে কলেজে ঢুকছিল ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, ওই সময় জিয়াগঞ্জের বিজেপি’র কিছু সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে 'জয় শ্রীরাম' বলার জন্য চাপ দিতে থাকে। আপত্তি তুলে অনেকেই সেখান থেকে সরে যায়। এই সময় কলেজে ঢুকছিল লালগোলার বাসিন্দা কলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তুষার আহম্মেদ, হুমায়ুন কবীর। তাদেরও একই ভাবে চাপ দিতে থাকে ওই বিজেপি সমর্থকেরা। বিবাদের সূত্রপাত তা থেকেই। প্রথমে কথা কাটাকাটি, ক্রমে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক অকার আহমেদ বলেন, ‘‘কলেজে বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই, তবুও বহিরাগত কিছু বিজেপি সমর্থক এসে জোর করে 'জয় শ্রীরাম' বলানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি।’’
বিজেপি অবশ্য ওই দাবি মানছে না। তাদের দাবি, কলেজে কয়েকটা বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল তারা। সেই সময় তৃণমূলের কিছু সমর্থক তাদের উপর চাড়ও হয়ে মারধর করে। তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিও করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জিয়াগঞ্জ টাউন বিজেপি’র সভাপতি প্রতাপ হালদার বলেন, ‘‘সবই মিথ্যে অভিযোগ। কলেজে আমাদের কর্মীরা ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার সময় আমাদের উপর আক্রমণ করেছে তৃণমূল।’’ লালবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বরুণ বৈদ্য বলেন, "আমাদের কাছে কোনও তরফ থেকেই এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ মেলেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ ওই কলেজের অধ্যক্ষ অজয় অধিকারীর কথায়, ‘‘কলেজে বিজেপি’র ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। তবে তাঁরা কেউ আসেননি। শুনেছি কলেজের বাইরে কোনও গন্ডগোল হয়েছে, হয়ত তার জেরেই আর আসেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy