শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল ছবি।
ইউজিসি-নেট দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার কার্যত প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই ঘটনায় এখনও যা সামনে এসেছে তাকে ‘হিমশৈলের চূড়া’ হিসেবে উল্লেখ করে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘নেট দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে সিআইডি তদন্ত করলে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তা হলে কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত করলে কী বলা হবে? রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গলা ফাটানো হয়। তাহলে এখন কী হবে?’’ ঘটনাচক্রে, বুধবার নেট বাতিলের ঘোষণার পরে ব্রাত্য বলেছিলেন, ‘‘এখন সব কেলেঙ্কারি বেরোবে। কারণ, কেন্দ্রে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নতুন নেট নেওয়া হবে। নতুন প্রধানমন্ত্রীও আসবে। সিবিআইকে স্বাগত। আশা করি, আসল মাথার খোঁজ পাওয়া যাবে।’’
এ দিন ব্রাত্যর সিবিআই-খোঁচাকে অবশ্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি মেনে আদালতও তদন্তের ভার সিবিআইকে দিয়েছিল। তাই এ বার দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রকে পাল্টাবিঁধছে রাজ্যও।
এ দিন রাজ্যের শাসক দল এবং বিজেপি বাদে বিরোধীরাও নেট দুর্নীতি নিয়ে পথে নেমেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছে। কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এসএফআই, ডিএসও, সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সকলের দাবি, পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ) সরাতে হবে। অবিলম্বে নতুন পরীক্ষার দিন ঘোষণা করতে হবে। বাতিল হওয়া পরীক্ষা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবিও উঠেছে।
এ দিন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দিনের পর দিন পরীক্ষা পদ্ধতি এনটিএ-র হাত থেকে সরানোর কথা বলেছি। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। পরপর দু’টি পরীক্ষায় অপদার্থতা প্রমাণ হল।’’ পরীক্ষার নতুন দিন, তদন্ত এবং দোষীদের দাবি করেছেন তিনি। একই দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা), সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটিরও। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক সনাতন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। মেধাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পথে পাঠিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত। দেশ মেধাকে সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy