প্রতীকী ছবি।
ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে তাঁরা অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। কিন্তু অনেক সময়েই নির্দিষ্ট সময়ে বুথে পাওয়া যাচ্ছে না বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। তা ছাড়া তাঁদের আচরণ-সহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই সব প্রশ্নের সুরাহা করতে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সারা দেশেই বিএলও-দের আচরণের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত তারা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও।
এই রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন (১৬ ডিসেম্বর-১৫ জানুয়ারি) পর্বে শনি-রবিবারকে বিশেষ প্রচার দিবস চিহ্নিত করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর। ওই সব দিনে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বিএলও-দের বুথে থাকার কথা। সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও নির্দিষ্ট দু’ঘণ্টার জন্য বসতে হবে তাঁদের। কিন্তু রাজ্যের মোট ৭৮,৭৯৯টি বুথের সর্বত্র বিওলও-রা বসছেন না বলে অভিযোগ। কোথাও কোথাও ভোটার তালিকায় তথ্য সংশোধন করতে আসা ব্যক্তিকে ‘ভুল’ পথে পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে কোনও কোনও বিএলও-র বিরুদ্ধে। বিএলও-রা যাতে নির্দিষ্ট সময়ে বুথে বসে তালিকা সংশোধনে আমজনতাকে সাহায্য করেন এবং তাঁদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করেন, জেলাশাসকদেরই সেটা নিশ্চিত করতে বলছে কমিশন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, সব বুথে বিএলও-রা এখনও বসেননি। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলতে নারাজ কমিশন-কর্তারা। তালিকা সংক্রান্ত ফর্মের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জেলাকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
ভোট বা ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজের জন্য বছরে বুথ-পিছু ছ’হাজার টাকা পান বিএলও-রা। অর্থাৎ মাসে পাঁচশো টাকা। বিএলও হিসেবে কাজ করেন বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মীরা। তাঁদের অনেকের মতে, শনি-রবিবারের মতো ছুটির দিনে সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য কাজ করা যথেষ্ট চাপের। ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের মূল্যায়ন এত কম অর্থে হয় কি না, সেটা ভাবা উচিত কমিশনের।
আরও পড়ুন: মুখ খুলুন আমার হয়ে, ডাক ধনখড়ের
এই পরিস্থিতিতে তালিকায় নাম দেখে নিতে ভোটারদের আবেদন জানাচ্ছে কমিশন। ডব্লিউবি স্পেস ইসি স্পেস এপিক নম্বর (ভোটার পরিচয়পত্র) ৫১৯৬৯ নম্বরে এসএমএস করে তা জানা যাবে। সেই সঙ্গে রাজ্য সিইও-র ওয়েবসাইট এবং ন্যাশনাল ভোটারস সার্ভিস পোর্টালে গিয়ে যে-কোনও ভোটার তাঁর তালিকার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। তা ছাড়া এই সংক্রান্ত তথ্য-স্লিপও ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই স্লিপ ভোটারদের বাড়িতে কার্যত পৌঁছয়নি বলেই খবর। এটাও মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে কমিশনের।
আরও পড়ুন: ‘এগিয়ে চলো, সঙ্গে আছি’, ছাত্রদের মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy