Advertisement
০২ জানুয়ারি ২০২৫
TET 2023

আইনি জটিলতা না কাটলে ২০২৩-এর টেটের ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না, ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির

ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশ মেনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গ়ড়েছে পর্ষদ। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট প্রকাশ করবে কমিটি। ওই আইনি জটিলতা মিটলে তবেই ২০২৩ সালের টেটের ফল প্রকাশ করা হবে।

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০০
Share: Save:

বছর ঘুরে গিয়েছে, এখনও প্রকাশ করা গেল না ২০২৩ সালের টিচার এলিজেবিলিটি টেস্ট (টেট)-এর ফল। এ বার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিলেন, ২০১৭ এবং ২০২২-এর টেটের আইনি জটিলতা না মেটা পর্যন্ত ২০২৩ সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাবনা নেই।

পর্ষদ সভাপতি বলেন, “বেশ কিছু বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিছু পরীক্ষার্থী আদালতে প্রশ্ন নিয়ে চ্যালেঞ্জও করেছিলেন। এগুলি বেশির ভাগই ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেটের। পূর্বের ওই আইনি জটিলতা না মিটিয়ে ২০২৩ সালের টেটের ফল প্রকাশ করা হবে না।”

উল্লেখ্য, প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৭ সালের টেটে ২৩টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। আর ২৪টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে ২০২২ সালের টেটে। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিশদে রিপোর্ট প্রকাশ করবে ওই কমিটি। ওই আইনি জটিলতা মিটিয়ে তবেই ২০২৩ সালের টেটের ফল প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি, ২০২৩-এর টেটের প্রশ্ন নিয়েও মামলা হয়েছে। এ নিয়েও আইনি পরামর্শ গ্রহণ করছে পর্ষদ।

২০২২ সালে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর টেট হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষের মতো। উত্তীর্ণ হন প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী। ওই বছর পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর বছরে দু’বার টেট গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন সভাপতি। সেই মতো ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন। পরীক্ষার পর বছর ঘুরতে চললেও এখনও ফলপ্রকাশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরই মাঝে আবার নানা আইনি জটিলতা এবং নিয়োগে দেরির কারণে ২০২৪ সালের টেটও বাতিল হয়ে যায়।

৭ মে পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর কোনটি, তা জানানো হয়। যদি কোনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে কোন‌ও পরীক্ষার্থীর দ্বিমত থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন চ্যালেঞ্জ করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ জানানোর সময়সীমা ছিল ১০ মে থেকে ৯ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। এর পর থেকেই ফলপ্রকাশ নিয়ে আশাবাদী ছিলেন পরীক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। সেই তুলনায় ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। পর্ষদের ব্যাখ্যা, যে হেতু এ বছর শুধু ডিএলএড উত্তীর্ণরাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন, তাই এই সংখ্যা কমেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

TET West Bengal Board Primary Education result
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy