প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে— এই অভিযোগে আজ, শনিবার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার কথা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, বিজেপি তিলকে তাল করছে।
শারদোৎসবের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েক জন খুন হয়েছেন। বিজেপির দাবি, তাঁদের মধ্যে নদিয়ার দু’জন এবং বীরভূমের এক জন দলীয় কর্মী। তাদের আরও দাবি, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে সপরিবার নিহত বন্ধুপ্রকাশ পাল আরএসএস কর্মী এবং রাজনৈতিক কারণেই তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। যদিও আরএসএসের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ এখনও তারা পায়নি।
বিজেপির বক্তব্য, রাজ্য জুড়ে একের পর এক খুনের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি স্পষ্ট। তারই প্রতিবাদে তাদের আজকের ধর্নায় থাকার কথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ প্রথম সারির নেতাদের। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘রাজ্যের হিংসাচিত্র দিল্লির দরবারে তুলে ধরতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সময় চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জিও আমরা জানাব।’’ তবে দিলীপবাবু জানান, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানোর পরিকল্পনা তাঁদের নেই।
বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ যখন এগিয়ে চলেছে, তখন তিল থেকে তাল তৈরির অপচেষ্টায় নেমেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে তাদের হালে পানি নেই বুঝতে পেরে দিল্লির পথ ধরেছে। যাঁদের কথা বিজেপি বলছে, মুর্শিদাবাদের সেই নিহতদের আত্মীয়রাও বলেছেন, খুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই। পুলিশও তা-ই বলছে। এমনকি, আরএসএসও তা-ই বলছে। ঘোলা জলে ডাল গলবে না।’’
অন্য দিকে, পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশের সপরিবার খুনের তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ থেকে জেলায় জেলায় ধিক্কার মিছিল ও সভার ডাক দিয়েছে বামেদের নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy