রথে থাকবেন দিলীপ, মুকুল, শুভেন্দুরা। গ্রাফিক: অসীম রায়চৌধুরী
নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে এ বার রথযাত্রার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। দলের পরিকল্পনা রাজ্যের ২৯৪টা বিধানসভা আসন এলাকা স্পর্শ করে ২৫ দিন ধরে ঘুরবে রথ। কবে শুরু, কবে শেষ তা চূড়ান্ত না হলেও প্রতিটি জোনকে এর পরিকল্পনা শুরু করতে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্যস্তরের সব নেতারাই শামিল হবেন সেই রথযাত্রায়। রথে দেখা যাবে দিলীপ, মুকুল, শুভেন্দু-সহ সকলকেই।
রাজ্য বিজেপিতে ৫টি সাংগঠনিক জোন রয়েছে। উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, নবদ্বীপ, মেদিনীপুর ও কলকাতা। প্রাথমিক পরিকল্পনায় যা ঠিক হয়েছে তাতে প্রতিটি জোনে একটি করে রথ বার হবে। রবিবার কলকাতায় আইসিসিআর-এ রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে হাজির এক রাজ্য নেতা জানিয়েছেন, আলাদা আলাদা জায়গায় হলেও সবক’টির সূচনা হবে একই দিনে। রাজ্য নেতৃত্ব চাইছেন ফেব্রুয়ারি মাসে সেই রথের সূচনা করুন কোনও কেন্দ্রীয় নেতা। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রথযাত্রার সূচনায় হাজির করার উদ্যোগও শুরু হয়েছে। এমন ভাবনাও রয়েছে যে রাজ্যের কোথাও একই দিনে পাঁচটি রথ মিলিত হবে। আর সেই দিনও হবে বড় কোনও সমাবেশ। সেই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকতে পারেন কি না, তাও ভাবনার মধ্যে রয়েছে।
বিজেপির সঙ্গে রথযাত্রার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীরা সভাপতি থাকার সময়ে দেশ জুড়ে রথযাত্রা হয়। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রথযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ নামে রথ ঘোরার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে যায়। প্রথমে রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি। পরে আদালতের নির্দেশেও রথের যাত্রা ভঙ্গ হয়। এ বার তাই বিজেপি অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে চাইছে। প্রতিটি জোনকে নিজের নিজের এলাকায় কোন রুটে রথ ঘুরতে পারে তা ঠিক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে খেয়াল রাখতে হবে সব বিধানসভা আসন এলাকাতেই যেন রথ পৌঁছায়।
রবিবার কলকাতায় ছিল রাজ্য বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক।
রবিবারের বৈঠকে রথ যে বের করা হবে তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, রথের নাম কী হবে তা নিয়েও সকলকে মত জানাতে বলা হয়েছে। দলের একাংশ চায়, ‘পরিবর্তন যাত্রা’ নাম দেওয়া হোক। তবে একটাই নাম না দিয়ে জোন অনুযায়ী সাধারণ মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে রথের আলাদা আলাদা নাম দেওয়া যায় কি না সেই ভাবনাও রয়েছে। আবার জোনের মধ্যেও এলাকা অনুযায়ী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও বৈঠকে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের, বিভিন্ন জীবিকার মানুষের আবেগকেও রথযাত্রায় গুরুত্ব দেওয়া যায় কি না, তা জোন স্তরে আলোচনা করে জানাতে হবে। রথযাত্রার পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে না চাইলেও না চাইলেও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ফেলার জন্য যা যা করার দরকার সব করা হবে। নানা রকম পরিকল্পনা চলছে। রথযাত্রাও হবে।।’’
আরও পড়ুন: জিতেন্দ্র জেলা কমিটির বাইরেই, দলে আছি, বার্তা দিলেন বিধায়ক
আরও পড়ুন: আপনার তথ্য সুরক্ষিত, স্টেটাস দিয়ে জানাল হোয়াটসঅ্যাপ
গত শুক্রবার দিল্লিতে অমিত শাহর বাড়িতে বৈঠকে যান রাজ্য বিজেপি নেতারা। সেখানে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ছাড়াও ছিলেন সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশ, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীরা। ছিলের রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রবিবার কলকাতার বৈঠকে এঁরা সকলেই হাজির ছিলেন। এ ছাড়াও দলের রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি ৫টি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ডাকা হয়। এ ছাড়াও আসতে বলা হয়েছিল বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সভাপতিদের। এর বাইরে একমাত্র হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এখন থেকে এই ধরনের সব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেই পদ না থাকলেও শুভেন্দুকে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে ডাকা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy