অমিত শাহ ও জে পি নড্ডা।—ফাইল চিত্র।
উৎসবের মরসুমে ভার্চুয়াল সভা, আর দীপাবলি সাঙ্গ হতেই বাংলায় সশরীরে প্রচারে নামছেন অমিত শাহ, জে পি নড্ডার মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিজেপি জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যে শাসক শিবিরের আমফান ও অন্যান্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হওয়া ও অন্য দিকে সংসদে সদ্য পাশ হওয়া কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারমুখী বিলগুলির ইতিবাচক দিক তুলে ধরে গ্রাম-বাংলায় প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিল দল। আগামী ৮ অক্টোবর দলের যুব মোর্চা পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন অভিযানেরও।
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচার কৌশল নিয়ে গত তিন দিন ধরে দিল্লিতে আলোচনায় বসেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিলমোহর দিতে বিজেপি সভাপতি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকে করেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রাজ্য নেতারা। তার পরেই দিল্লিতে উপস্থিত বিজেপি সাংসদদের ডেকে নেওয়া হয় দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। বুঝিয়ে দেওয়া হয় রণকৌশল। বিজয়বর্গীয় বলেন ‘‘দলের প্রচারের কৌশল কী হবে তা নিয়ে প্রথমে জে পি নড্ডা ও পরে বাংলার সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’’ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘সরকারের দুর্নীতি, অরাজকতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রশ্নে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এ ছাড়া আমফান প্রভাবিত এলাকার সমস্ত বিডিও দফতর আগামী ৫ অক্টোবর ঘেরাও করা হবে। তার পরে ৮ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন চলো অভিযান রয়েছে। পুজোর আগেই একাধিক ভার্চুয়াল সভা করবেন অমিত শাহ ও নড্ডা।’’
বিজেপির বক্তব্য, আমফান ত্রাণ দুর্নীতিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে গ্রামীণ মানুষ ক্ষেপে। এই দুর্নীতি নিয়ে সর্বাত্মক প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘ত্রাণ বণ্টনে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের চুরির প্রতিবাদেই আন্দোলনে নামছে দল।’’ আমফান ছাড়াও রেশন দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও সাম্প্রতিক আল কায়দা জঙ্গির গ্রেফতারির পরে রাজ্যবাসী কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্নে সরব হবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সাত রাজ্যকে ডেকে মোদীর করোনা-বৈঠক
এই মুহূর্তে বিজেপির গলার অন্যতম কাঁটা কৃষি বিল। ইতিমধ্যেই ওই বিলগুলি কৃষক-বিরোধী বলে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। তাই পাল্টা প্রচারে প্রতিটি জেলায় কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূলের প্রচারের জবাব দিতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দল। যত দ্রুত সম্ভব গ্রামীণ এলাকায় দলের নেতাদের প্রচারে নেমে পড়তে বলেছে দল। রাজ্য বিজেপিতে শীর্ষ স্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে আজ দাবি করেছেন দিলীপ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়িতে হওয়া তিন দিনের বৈঠকে আগাগোড়া উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়।
আরও পড়ুন: ‘ফায়দা তুলতে পারে পাকিস্তান’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy