আপাতত সব রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বাংলার পরিস্থিতি জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন মোদী, শাহ। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ২০০ পার করার স্লোগান তুলে ৭৭-এ আটকে গিয়েছিল বিজেপি। তার পর থেকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সরব হয় তারা। সেই অভিযোগ নিয়েই জাতীয় স্তরে তৃণমূলবিরোধী স্বর তৈরির চেষ্টা শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নির্দেশ এসেছে দেশের অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে জানাতে হবে বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ সংক্রান্ত অভিযোগ। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী ‘মুখ’ হিসেবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ে সম্প্রতি প্রচার শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। সেই আবহেই মমতাবিরোধী স্বর তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি।সেই মতো কাজ শুরু করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। সঙ্গে আছেন এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ভুপেন্দ্র যাদব।
ফল ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় তাদের কর্মীরা আক্রান্ত বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। অনেক জায়গায় কর্মীরা ঘরছাড়া এবং জরিমানার বিনিময়ে বাড়ি ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। রাজ্যের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে প্রথমে বাংলায় আসেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এর পরে কিছু বিক্ষোভ সমাবেশও করে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরির পরে তা বন্ধ করে দিতে হয়। এখন রাজ্যে সে ভাবে আন্দোলন তৈরি করতে না পারায় আপাতত গোটা দেশে প্রচারের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা।
ইতিমধ্যেই ১৩টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর এবং আন্দামান ও নিকোবরের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু করেছেন গুজরাত, মেঘালয়ের সঙ্গে। এ ছাড়াও দুই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস পঞ্জাব, বিহার ও উত্তরাখণ্ড এবং ভুপেন্দ্র ছত্তীসগঢ়, নাগাল্যান্ড ও অসমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সর্বভারতীয় সহ সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বৈঠক করেছেন মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। বিজেপি-র এই সর্বভারতীয় কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘দেশ কে সাথ এক সংবাদ’। এ জন্য মোদী ও নড্ডার ছবি দেওয়া যে পোস্টার তৈরি হয়েছে তাতে দলের মূল বক্তব্য ‘বাংলা জ্বলছে, হিংসাই কি সমাধান?’ প্রশ্নের আকারে লেখা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত যে ক’টি রাজ্যের দলীয় নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক হয়েছে তার বেশিটাই বিজেপিশাসিত। এর পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যও রয়েছে যেখানে বিজেপি বিরোধী দলের ভূমিকায়। তবে সবক’টি রাজ্যে বিজেপি-র সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। গেরুয়া শিবির চাইছে, এই সব রাজ্যেও বাংলার হয়ে প্রচার চলুক। যা থেকে বাংলায় অপশাসন চলছে বলে দাবি আগামী দিনে জাতীয় স্তরের প্রচার পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy