শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে বিজেপির ‘মুখ’ হওয়ার অঘোষিত দাবিদার তিনি। পেয়েছেন বিরোধী দলনেতার পদমর্যাদা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত সকলকে ‘আক্রমণ’-এর ক্ষেত্রেও তিনি সবচেয়ে সক্রিয়। তাঁর মুখে ঘন ঘন সরকার উল্টে দেওয়ার হুমকিও শোনা যায়। যদিও সেই শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুক পূর্ব মেদিনীপুরেই পাঁচটি মণ্ডলের সভাপতি বাছতে পারেনি বিজেপি।
মঙ্গলবার দলের রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকে বিষয়টি তোলেন অন্যতম সাধারণসম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্ড। শুভেন্দু অবশ্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দলের ভেতর শোনা যায়, পছন্দের নাম নিয়ে শুভেন্দু ও সুকান্তর মধ্যে মতানৈক্যের জেরেই এই অবস্থা। জেলার বিজেপি নেতা তথা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কণিষ্ক পণ্ডা অবশ্য বলেন, “ওঁদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। পুরোটাই কাকতালীয়। খুব ভাল সম্পর্ক। দুজনে জুটি বেঁধেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বেন।” তবে সুকান্ত শুভেন্দুর সম্পর্ক কোন স্তরে পৌঁছেছে, তা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের নজর এড়ায়নি।
সোমবার মহিলা মোর্চার প্রতিবাদ মিছিল শেষে ওয়াই চ্যানেলের সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল শুভেন্দু, সুকান্তর। কিন্তু হঠাৎই মাঝপথে মিছিল ছেড়ে বেরিয়ে যান সুকান্ত। পরে বিকেলে দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে পদাধিকারীদের বৈঠকে সুকান্ত থাকলেও ছিলেন না শুভেন্দু।
এ দিকে, মঙ্গলবার বিধানসভায় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল সুকান্তর। তার আগে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে ডেঙ্গি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সুকান্ত ঢোকার আগেই বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান শুভেন্দু। এই নিয়ে সুকান্ত অবশ্য বলেন, “ওঁর অন্য কাজ ছিল। তাই চলে গিয়েছেন। আমার সঙ্গে ওঁর কথা হয়নি।”
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “দল তো নয়, পুরোটাই উপদল। বারবার বলেছে ডিসেম্বরে দেখুন কী হয়। এটাই ওদের ডিসেম্বরের সার্কাস।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy