বিজেপি টিচার্স সেলের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারকেও। ফাইল চিত্র ।
প্রাথমিক ভাবে আন্দোলনটা ছিল মূলত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের। পরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলগুলিকেও। এ বার সংঘবদ্ধ ভাবে সেই দাবিকেই পাথেয় করে শাসকদলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সরাসরি পথে নামছে পদ্মশিবির। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ডিএ-সহ সাত দফা দাবি নিয়ে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপির শিক্ষক সংগঠন টিচার্স সেল। পাশাপাশি অন্য শিক্ষক সংগঠনগুলির সদস্যদেরও এই অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বিজেপি টিচার্স সেলের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারকেও। পাশাপাশি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত শূন্যপদে অবিলম্বে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগের দাবিও তুলেছেন বিজেপি টিচার্স সেলের সদস্যেরা। তাঁরা আরও দাবি জানিয়েছেন, সকল স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম’- এ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি টিচার্স সেলের রাজ্য কনভেনর অসিতকুমার মণ্ডল জানান, তাঁরা পার্শ্বশিক্ষক, ভোকেশনাল শিক্ষক এবং শিক্ষাবন্ধুদেরও কেন্দ্রীয় নীতি মেনে ভাতা প্রদান করার দাবিতে মঙ্গলবার পথে নামছেন। পাশাপাশি অবিলম্বে ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে বলেও তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে অন্য শিক্ষক সংগঠনগুলিও লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ডিএ-র লড়াইকে আরও সংঘবদ্ধ ভাবে রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতেই তাঁরা এই অভিযানে বাকি সংগঠনগুলিকে যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অসিত।
এর আগে রাজ্যের বেতন এবং পেনশনভুক কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পদ্মশিবিরের অন্য নেতাদের। এ বার বাকি শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বিজেপির টিচার্স সেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy