অভিষেককে নিয়ে সুকান্তের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুভেন্দুকে নিশানা করেন কুণাল। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। সিঙ্গুরে সাংগঠনিক বৈঠকে এসে এমনই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের এমন মন্তব্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখ পাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন, ‘‘এখান থেকেই বিজেপির চক্রান্ত পরিষ্কার হয়ে যায়।’’
রবিবার সিঙ্গুরে সাংগঠনিক বৈঠকের পর সুকান্ত বলেন, ‘‘উনি বিজেপিকে নকল করার চেষ্টা করছেন। বিজেপির মতো সাংগঠনিক পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিবেলা উনি কাদের সঙ্গে মিটিং করছেন, আমরা সব জানি। কিন্তু ওই ভাবে উনি বাঁচতে পারবেন না। যদি ভেবে থাকেন উনি গ্রেফতার হবেন এবং লোকেরা রাস্তায় নামবে, তুলকালাম হবে, তা হলে সেটা হচ্ছে না।’’
নিয়ম করে প্রায় প্রতিটি সভা থেকে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছেন শুভেন্দু। দিন কয়েক আগে একটি সভা বিজেপি নেতা মন্তব্য করেন, ‘‘সব থেকে বড় তোলাবাজ উনি। রুজিরা নারুলা কে? তার পরিচয়টা ঘোষণা করুক। কয়লার টাকা কে তুলত, বলে দিলেই তো হয়। অন্য অনেক কথা নিয়ে তো মানহানির মামলা করেছেন। কিন্তু এটা নিয়ে তো করেন না। কারণ আমি চেক দেখাই।’’ নাম না করলেও শুভেন্দুর নিশানা যে অভিষেক, তা পরিষ্কার। অন্য দিকে, কয়েক সপ্তাহ আগে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের নোটিস পৌঁছেছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নোটিসের ছবি টুইটারে পোস্ট করে অভিষেক অভিযোগ করেন, তাঁকে হেনস্থা করতে ইডি-সিবিআইকে দিয়ে আদালত অবমাননাও করাচ্ছে বিজেপি। এখন সুকান্তের দাবি, অভিষেককে গ্রেফতার করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সাধারণ বোধবুদ্ধিতে যা বলে, ওঁর গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। যে ভাবে মিডিয়া বলছে, ওঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে..., উনি অ্যারেস্ট হবেন।’’
শনিবার জামালপুরের সভা থেকে দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করেন অভিষেক। জানান, এ নিয়ে দল খুব কড়া। কাউকেই রেয়াত করা হয় না। তিনি উদাহরণ হিসেবে নিয়োগ মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বরখাস্তের কথা তুলে ধরেন। যা নিয়ে সুকান্তের কটাক্ষ, ‘‘এ সব মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। অভিষেক মানুষকে যা বোঝাবেন মানুষ তাই বুঝে নেবেন নাকি!’’
সুকান্তের এই মন্তব্যের পর কুণালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যাঁরা সিবিআইয়ের খাতায় নাম ওঠা শুভেন্দুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান, তাঁদের মুখে এ সব কথা মানায় না।’’ তৃণমূল নেতার সংযোজন, ‘‘শুভেন্দুকে চোর বলেছিল সুকান্তের দল। ভিডিয়ো দেখিয়েছিল। আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি কি জমিদারবাড়ির লেঠেল, যে ওঁরা এখান থেকে বলে দিচ্ছেন, একে ধরবে, ওকে ধরবে। এখান থেকেই তো ওদের (বিজেপির) চক্রান্তটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy