শান্তনু সেন-সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন। আলিপুর কোর্টে বিচারাধীন সেই মামলা। মানহানির ওই মামলাই খারিজ করার আবেদন জানাতে সোমবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সুকান্ত।
শান্তনুর অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়ে ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়া নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন সুকান্ত। এর পরই তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
সুকান্ত দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনুর কন্যা সৌমিলি সেন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। টুইট করে তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন, সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষা নিটের ফলে সৌমিলির র্যাঙ্ক ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৭। তা সত্ত্বেও কী করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ? প্রশ্ন তুলেছিলেন সুকান্ত। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘সুবর্ণ বণিক সমাজ’ নামে ট্রাস্টের কোটায় ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন সৌমিলি। তার সঙ্গে একটি নথিও পোস্ট করেছিলেন। তবে সেই প্রসঙ্গে শান্তনু বলেছিলেন, ‘‘আমার মেয়ে বরাবরই মেধাবী। নিজের মেধার জোরেই ও ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এটা জানা দরকার যে এনইইটি উত্তীর্ণ না হতে পারলে কেউ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায় না।’’ প্রয়োজনে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
এর পর আলিপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক মুস্তাক আলমের এজলাসে সুকান্তের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন শান্তনু। সাংসদের অভিযোগ, তাঁর ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়েকে ঘিরে সুকান্ত টুইটারে মন্তব্য করেছেন। তার ফলে সাংসদের সম্মান নষ্ট হয়েছে। আর সেই কারণেই এই মামলা।
সেই মামলা খারিজের আর্জি নিয়েই সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এলেন সুকান্ত। একই সঙ্গে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঢিল ছোড়া নিয়ে মন্তব্যের জেরেও তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে মামলা করে হয়েছিল। সেই মামলা খারিজের আবেদনও সুকান্ত হাই কোর্টে করেন।
এর পর গঙ্গা আরতি করার সময় গ্রেফতারির জামিন সুনিশ্চিত করতে ব্যাঙ্কশাল আদালতেও উপস্থিত হন তিনি। গ্রেফতারির পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার জামিনের জন্য সশীরের ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির হন সুকান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy