বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনায় তৃণমূল স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, পাঁচ বছরের মধ্যে শাসকদলের কাছ থেকে কড়ায়-গন্ডায় সব হিসাব বুঝে নেবে বিজেপি। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান-বিডিওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন দিলীপ। এ নিয়ে দিল্লিতেও দরবার করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও দিলীপের অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
রবিবার বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দিলীপ। ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর কার্যালয়ে দেওয়া ভাষণে এ রাজ্যে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ করেন তিনি। দিলীপের দাবি, “পাঁচ বছরের মধ্যে কড়ায়-গন্ডায় হিসাব বুঝে নেব। দিল্লিতে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্ত (দুর্নীতিগ্রস্ত) এসডিও-বিডিওদের জেল খাটতে হবে।”
আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পের তথ্যে গরমিলেরও অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “রাজ্যে লুঠপাটের সরকার চলছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম পাল্টে দিয়েছে। সেখানেও দুর্নীতি এমন যে, রাস্তা না গড়েই টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একশো দিনের কাজে একই রাস্তা তৈরির হিসাব দু’বার দেখানো হচ্ছে। শৌচালয় এবং আবাস যোজনায় গরিব মানুষের নামে পাকা বাড়ি, মোটরসাইকেল দেখানো হয়েছে। অথচ পাকা বাড়ির মালিকেরা টাকা পাচ্ছেন। আবাস যোজনার টাকায় তাঁরা গোয়ালঘর পাকা করছেন। এ সমস্ত কিছুর ছবি-সহ অভিযোগ করুন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সব এসডিও-বিডিওদের জেল খাটানো হবে। দিল্লিতে (বিজেপি) সাংসদের নিয়ে গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি।”
দিলীপের দাবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দিয়ে তদন্ত করালে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বহু দুর্নীতিগ্রস্তই জেলে যাবেন। তিনি বলেন, “পাঁচ বছরের মধ্যে বহু লোক জেলে যাবে। বহু লোক ঘরছাড়া হবে।” ঘটনাচক্রে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লির দফতরে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রুজিরাকে ১ সেপ্টেম্বর এবং অভিষেককে ৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শিশুসন্তানদের নিয়ে দিল্লি-যাত্রা ঝুঁকির হবে বলে জানিয়ে হাজিরা দেননি রুজিরা। প্রয়োজনে কলকাতার বাড়িতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে সোমবার দিল্লিতে গিয়ে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে পারেন অভিষেক। রবিবার অভিষেকের নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, “ইডি এবং সিবিআইয়ের চিঠি আসছে আর অনেকের ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাচ্ছে।”
যদিও দিলীপের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা তৃণমূল নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাগলের প্রলাপ বকছেন দিলীপ ঘোষেরা। যাঁরা বাংলার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেননি, যাঁরা করোনা আবহে নির্বাচনের সময় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন, তাঁদের মুখে এ সব কথা মানায় না। এত কিছু করার পরেও তাঁরা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছেন। অতএব এ সমস্ত কথার কোনও ভিত্তি নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy