বাবুল সুপ্রিয়— ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের পারদ চড়তে শুরু করল। বিজেপি-র অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে নিয়েও রাজনীতি করছেন মমতা। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন বলেও দলের দাবি।
রাজ্য বিজেপি-র টুইটারে সরাসরি ‘গুরুদেবের বিশ্বভারতীকে অপমান করা’র অভিযোগ তোলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দলের টুইটার হ্যান্ডলে ‘হ্যাশট্যাগ মমতা ইনসাল্টস গুরুদেব’ প্রচার শুরু হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি টুইটারের উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, ‘সর্বত্র নোংরা রাজনীতি? আমন্ত্রণ পেয়েও বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে তিনি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উত্তরাধিকারের অবমাননা করেছেন। সোনার বাংলা যে বিষয়গুলির উপর দাঁড়িয়ে, উনি একে একে সেগুলির শ্বাসরোধ করছেন’।
টুইটের সঙ্গে শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ৪ ডিসেম্বর লেখা চিঠির প্রতিলিপিও পোস্ট করেছে বিজেপি। যদিও সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথির উল্লেখ নেই সেখানে।
মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সভা থেকে বারবার বিজেপিকে'বহিরাগত'বলেছেন,#TMCর বিভিন্ন নেতারাও বলেছেন বিজেপি নাকি বাংলার সংস্কৃতি জানেনা।কিন্তু আদতে বাংলার সংস্কৃতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাজনীতিতে লিপ্ত খোদ মুখ্যমন্ত্রী।আজ ওনার,কবিগুরুর বিশ্বভারতীকে উপেক্ষা করা সেটারই প্রমাণ।#MamataInsultsGurudev https://t.co/BAXkKmV1Wu
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) December 24, 2020
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইটারে লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বিভিন্ন সভা থেকে বিজেপি-কে ‘বহিরাগত’ বলছেন। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারাও বলছেন, বিজেপি নাকি বাংলার সংস্কৃতি জানে না। কিন্তু আদতে বাংলার সংস্কৃতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাজনীতিতে লিপ্ত খোদ মুখ্যমন্ত্রী। আজ ওনার কবিগুরুর বিশ্বভারতীকে উপেক্ষা করা সেটারই প্রমাণ’।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর শতবর্ষে আমন্ত্রণই পাননি মুখ্যমন্ত্রী, দাবি তৃণমূলের
ব্রাত্য বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার উপাচার্যের লেখা আমন্ত্রণপত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য বলেন, ‘‘সেই চিঠির কোনও প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছিল কি? ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি আছে কি? উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন না কি?’’ অনুষ্ঠানের আগের রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে আলাদা করে অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়েছিল বলে প্রকাশিত একটি খবরের উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর এটা কোনও নিয়ম? এ ভাবে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়?’’
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বড়দা বলে গেলেন মোদী, কটাক্ষ ব্রাত্যর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy