Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
south 24 parganas

সভা শেষে সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনে মধ্যাহ্নভোজ জে পি নড্ডার

নড্ডা বলেন ‘‘এ রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে। এই অসহিষ্ণু পরিবেশ ও অরাজকতা শেষ হওয়া দরকার। মমতাজির সরকার যেতে চলেছে, এ বার পদ্ম ফুটবে।’’

মৎস্যজীবীদের সভায় জে পি নড্ডা। নিজস্ব চিত্র।

মৎস্যজীবীদের সভায় জে পি নড্ডা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৪৮
Share: Save:

ডায়মন্ড হারবারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনে গেলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবারের লাইটহাউস মাঠের সমাবেশ শেষে সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দলের রাজ্য নেতারা। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফের লাইটহাউস মাঠে এসে উপস্থিত হন।

ওই মাঠে বিকেলে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও দলের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন নড্ডা। মৎস্যজীবীদের পক্ষ থেকে বিজেপি সভাপতির হাতে উপহার হিসেবে দেবী দুর্গার মূর্তি তুলে দেওয়া হয়। রাজনৈতিক কারণে খুন জেলার ৩ বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জানান নড্ডা। ওই সভায় তিনি বলেন ‘‘এ রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে। এই অসহিষ্ণু পরিবেশ ও অরাজকতা শেষ হওয়া দরকার। মমতাজির সরকার যেতে চলেছে, এ বার পদ্ম ফুটবে। এ রাজ্যে গণতন্ত্র আমরাই প্রতিষ্ঠা করব।’’

বাংলা চিরাচরিত সংস্কৃতি, ভাবধারা ও সাহিত্যসমৃদ্ধ অতীতকে তুলে ধরে নড্ডা বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ও শব্দ এবং সততার কথা সবাই জানে। আগে দেশের পথ দেখাতো বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সেই সম্মান নষ্ট করছেন। আমরা বাংলার সেই সম্মান পুনরুদ্ধার করব এবং সোনার বাংলা গড়ব।’’

তৃণমূলকে আক্রমণ করে নড্ডার মন্তব্য, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি এই ভাষা শিখিয়েছেন? ঋষি অরবিন্দ কি এই শিখিয়েছেন? এই অপসংস্কৃতির ভাষা কে শিখিয়েছে? আপনারা আজ সবাই জানেন। বাংলার জনগণকে বলব, আপনারা এগিয়ে এসে এই অপসংস্কৃতিকে দূরে সরান।’’ সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আগামী দিনে ডায়মন্ড হারবারেও পদ্ম ফুটবে।’’

রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে নড্ডা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এই সরকার চাল চোর, ত্রিপল চোর। এই সামগ্রী কোথায় গেলে পাবেন জানেন? তৃণমূল কার্যকর্তাদের বাড়িতে বাড়িতে। এই দলের নেতারা কাটমানি নেয় ৭৫ শতাংশ, আর মানুষকে দেয় ২৫ শতাংশ। মোদী সরকার ৮০ কোটি মানুষের জন্য ৫ কিলোগ্রাম চাল, ১ কিলোগ্রাম ডাল, ১ কিলোগ্রাম আটার ব্যবস্থা করেছে। সেটা কি এ রাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন? আমফানের পর কেন্দ্র রাজ্যকে অগ্রিম এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা সঠিক ভাবে খরচ করা হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

south 24 parganas j p nadda blp diamond harbour
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy