সংগৃহীত চিত্র
একশো দিনের প্রকল্পে বাঁকুড়া জেলায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে মজুরি দেওয়া বন্ধ। জেলায় শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির পরিমাণ প্রায় ৭০ কোটি ২৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। সে জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বার লোকসভায় শ্রমিকেরা কেন মজুরি পাচ্ছেন না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক যাতে রাজ্যের কাছে জানতে চায়, সে দাবি তুললেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।
লোকসভার ‘জ়িরো আওয়ার’-এ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সুভাষবাবুকে বলতে শোনা যায়, “বাঁকুড়া জেলার ৫০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একশো দিনের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। অথচ, তাঁরা পারিশ্রমিক ঠিক সময়ে পাচ্ছেন না। সারা পশ্চিমবঙ্গেই একশো দিনের কাজের পারিশ্রমিক শ্রমিকেরা ঠিক সময়ে পাচ্ছেন না।” সুভাষবাবু অভিযোগ করেন, “আমার কাছে খবর আছে, একটি জায়গায় ১৬ জন কাজ করেছে। অথচ, ২৫ জনের মজুরি হয়ে গিয়েছে। কাজ করা ১৬ জনের মধ্যে দু’জন মজুরি পাননি।” সাংসদের দাবি, “কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট নেওয়া হোক— কেন শ্রমিকেরা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। যাঁরা একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করছেন, তাঁদের নাম কি তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না?’’
বিষয়টি নিয়ে বুধবার সুভাষবাবু ফোনে দিল্লি থেকে দাবি করেন, “একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় সরকার যা অর্থ বরাদ্দ করেছে, তাতে শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া থাকার কথা নয়। কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কেন প্রকৃত শ্রমিকেরা টাকা পাচ্ছেন না, তা জানা জরুরি।” রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, “কেন্দ্র বঞ্চনা করছে। দ্রুত টাকা না দিলে এ বার আমরা আন্দোলনে নামব।’’বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা করেন দাবি, “একশো দিনের প্রকল্পে কোনও প্রকৃত শ্রমিক টাকা পাননি, এমন অভিযোগ নেই। বাড়তি শ্রমিকের হিসেব দেখানোর অভিযোগও নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy