—নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় এ বার ড্রোন উড়িয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালালেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জগদ্দল থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। যদিও ওই ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার অর্জুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকেরা। ঘটনাচক্রে, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে ব্যারাকপুরের পুলিশ-প্রশাসন। এই ‘তৎপরতা’ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন অর্জুন। পাশাপাশি, অর্জুনের বিরুদ্ধে ‘বোমার রাজনীতি’ করার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অর্জুনের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় শুক্রবার ড্রোনের সাহায্যে তল্লাশি চালানো হয়। জগদ্দলের সার্কাস মোড় থেকে ড্রোন উড়িয়ে দেখেন পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি, এলাকার কোন জায়গায় দুষ্কৃতীরা বোমা রাখতে পারে অথবা তাদের কোনও ডেরা রয়েছে কি না, তারও সন্ধান চলে। এ কাজে জগদ্দল থানার পুলিশের সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ড্রোন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুনের বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন অর্জুন-পুত্র তথা ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবনকুমার সিংহ। এর পরই ওই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার তার তদন্ত করতে অর্জুনের বাড়িতে যান এনআইএ আধিকারিকেরা। এর পরই ব্যারাকপুর প্রশাসনের এই তল্লাশির ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন অর্জুন। তিনি বলেন, ‘‘বোমাবাজির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের নাম পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ধরলেই অস্ত্র উদ্ধার হবে। তবে এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ যে সক্রিয়, তা এনআইএ-কে দেখাতে চাইছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে ড্রোন উড়িয়ে গোটা বিষয়টা হাস্যকর ঘটনায় পরিণত করেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।’’ তবে অর্জুনের কটাক্ষের জবাবে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেছে শাসকদল। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের দাবি, ‘‘অর্জুন সিংহের কাছেই সব থেকে বেশি বোমা রাখা। ‘জেড’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য অর্জুন সিংহই এ রকম বোমার রাজনীতি করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy