সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির সভাতেই দেখা মিলল না দলের সাংসদ ও বিধায়কের। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে কর্মী সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস, দুই বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, স্বপন মজুমদার-সহ অনেকেই। সভাস্থল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বাড়ি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর দাদা গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। কিন্তু তাঁদের এ দিনের সভায় দেখা যায়নি। আসেননি বিজেপি নেতা তথা বনগাঁ পুরসভায় বিজেপির একমাত্র কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডলও।
এই ঘটনায় বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামনে চলে এল বলেই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। দলীয় সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার জেলা সভাপতির ডাকা কর্মসূচিতে দেখা যায়নি শান্তনু-সুব্রতদের। আবার শান্তনু, সুব্রতের কর্মসূচিতে গরহাজির থেকেছেন জেলা সভাপতি রামপদ-সহ বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, স্বপন মজুমদারেরা।
কেন এ দিন এলেন না? শান্তনু বলেন, “আমি দিল্লিতে আছি।” সুব্রত ও দেবদাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁরা ফোন ধরেননি। দলীয় সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, বুধবারই শান্তনু, দেবদাস গাইঘাটা এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন। সাংসদ, বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “কিছু সমস্যা আছে। সমাধান করে ফেলব। শান্তনু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আমাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। দু’দিন আগে তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।”
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বিজেপি দলটার কী দৈন্যদশা! বাড়ির কাছে সভায় থাকছেন না সাংসদ-বিধায়ক। বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা কোন্দলে ব্যস্ত থাকেন।” এ দিনের সভা থেকে ২০২৪ সালের আগেই মতুয়া, নমশূদ্র ও সকল উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও মতুয়াদের বিভ্রান্ত করতে মিথ্যে কথা বলছে বিজেপি। মতুয়ারা এর জবাব দেবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy