শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ক্ষণ বিধানসভার বাইরে অবস্থানও করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়কেরা। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের আলোচনায় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর বক্তৃতায় গোর্খাদের বহিরাগত ও আদিবাসীদের পরিযায়ী বলেছেন। মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে, উল্লেখ পর্বে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বিষয়টির কথা উল্লেখ করেন। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, মন্ত্রীকে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু সেই প্রস্তাব আনার অনুমোদন দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই অধিবেশন কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, মন্ত্রীকে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি, নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। বিক্ষোভ দেখানোর কিছু ক্ষণ পর তাঁরা ওয়াকআউট করেন। দীর্ঘ ক্ষণ বিধানসভার বাইরে অবস্থানও করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়কেরা।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগগা বলেন, “গতকাল মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইতিহাসের অপলাপ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘গোর্খারা বহিরাগত এবং আদিবাসীরা অন্য জায়গা থেকে এসেছেন, তারা এ রাজ্যে পরিযায়ী।’ তাই আমাদের দাবি বিধানসভায় মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। আমরা নিঃশর্তে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানাচ্ছি।” আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আমরা কখনও কাউকে দূরে ঠেলে দিতে পারি না। তাই গতকাল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যে ভাবে গোর্খাদের বহিরাগত ও আদিবাসীদের পরিযায়ী বলে আক্রমণ করেছেন, তা নিয়ে আমরা বিধানসভায় উল্লেখ করে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু স্পিকার আমাদের সেই অনুমতি দেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ অবস্থান করছি।” বিজেপি পরিষদীয় দলের সূত্রে খবর, অধিবেশন শেষ হলেই মন্ত্রী শোভনদেবের মন্তব্য নিয়ে বড়সড় আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে পথে নামবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy