বিধানসভায় ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ তৃণমূল-বিজেপির। ছবি- সংগৃহীত
সোমবার বিধানসভায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি এ কথা ঘোষণা করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সিবিআই, আয়কর বিভাগের মতো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করবেন শাসক দলের মন্ত্রী, বিধায়করা। এই নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে বলতে বিধানসভায় হাজির থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পাল্টা হিসেবে বিজেপি পরিষদীয় দল তাদের আক্রমণের ঘুঁটি সাজিয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের শাসক দল যে ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে সরব হচ্ছে, তেমনই রাজ্যে পুলিশি জুলুম ও সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বক্তৃতা করতে পারেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত সরকারকে আক্রমণ করার জন্য বিজেপির বক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার বিধানসভার দ্বিতীয় পর্বে এই প্রস্তাব আনবেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব। তার পরই এই সংক্রান্ত বিষয়ে একে একে বক্তৃতা শুরু করবেন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। বিজেপির তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই, বালুরঘাটের বিধায়ক অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এই সংক্রান্ত বিষয় বক্তৃতা করতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।
বিজেপি পরিষদীয় দলের এক সদস্যের কথায়, ‘‘গত আট বছরে পুলিশ বেছে বেছে বিরোধী দলের লোকেদের নানা রকম ভুয়ো মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। স্থানীয় স্তরের থানার পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তাই তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়করা যখন ইডি-সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে তখন আমরাও রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিধানসভায় নিজেদের মতামত রাখব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ছিল ঠুঁটো জগন্নাথের মতো। সে কথাও বিধানসভার বক্তৃতায় উঠে আসতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy