বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। — নিজস্ব চিত্র।
সকালে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির নিচে ধর্নায় বসেন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। আর বিকেলে শিক্ষা বিলের আলোচনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দেখা গেল তাঁকে। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে অধিবেশনে যোগ না দিয়ে সোজা চলে যান অম্বেডকর মূর্তির নীচে। সেখানেই বসে পড়েন ধর্নায়। তিনি দাবি করেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁর এই ধর্না। মূলত বিজেপির বিরুদ্ধেই যে তাঁর এই ধর্না, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি। কার্শিয়াঙের বিধায়ক বলেন, ‘‘এই রাজ্যে প্রথম বিজেপিকে জায়গা দিয়েছিল পাহাড়। ২০০৯ সালে প্রথম বার পাহাড়ে জিতেছিলেন বিজেপির সাংসদ যশোবন্ত সিংহ। ২০১৪ সালে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া। আর ২০১৯ সালে রাজু বিস্তা। ২০১৯ সালে আমি তাঁর হয়ে ভোট চেয়েছিলাম। তাঁরাই আমাকে নির্বাচিত করে বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। আমি পাহাড়ের প্রতিনিধি হিসেবে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়েছি। দাবি পূরণ না হলে আমি ২০২৪ সালে বিজেপির হয়ে পাহাড়ে ভোট চাইব না।’’
ধর্নার সময় বিষ্ণুপ্রসাদের পাশে আর কোনও বিজেপি বিধায়ককে দেখা যায়নি। পরে অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই শিক্ষা সংশোধনী বিলের আলোচনায় যোগ দেন তিনি। অধিবেশনে এক সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিজেপি বিধায়কদের আক্রমণ করতে গিয়ে ‘রাম-বাম’ জোট বলে আক্রমণ করেন। তার প্রতিবাদে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা সদনেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। সেই সময় বিষ্ণুপ্রসাদকেও বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই স্লোগান দিতে দেখা যায়। যদিও শিক্ষাবিল নিয়ে আলোচনার শুরুতেই অধিবেশন পক্ষ থেকে বাইরে যাওয়ার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বাইরে ডেকে নেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ককে। তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন তিনি। পরে বিষ্ণুপ্রসাদ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘স্থানীয় স্তরে তাঁর বিধানসভায় যদি কোনও সমস্যা থাকে, তার জন্য কোনও বিধায়ক ধার্না দিতেই পারেন। এতে ভুলের কিছু নেই।’’ আর নিজের দ্বিমুখী অবস্থান প্রসঙ্গে বিষ্ণুপ্রসাদের জবাব, ‘‘আমি তো দলের বিরুদ্ধে নই। আমি দলের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তাই দু’টি ক্ষেত্রেই আমরা অবস্থান সঠিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy