পুর প্রশাসক অলকা সেন মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার নিজস্ব চিত্র।
আবার রাজনৈতিক জল্পনা উসকে দিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। সোমবার বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল নেত্রী অলকা সেন মজুমদারের সঙ্গে পুরসভার দফতরে গিয়ে দেখা করেন নীলাদ্রি। অলকার হাতে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন ওই বিজেপি বিধায়ক। আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রশাসকের কাজের প্রশংসা করতেও শোনা যায় বিধায়ককে। নীলাদ্রির দাবি, এটা একেবারেই সৌজন্যেমূলক সাক্ষাৎ। তবে পুরভোটের আগে বিজেপি বিধায়কের মুখে তৃণমূলের পুর প্রশাসকের প্রশংসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই নীলাদ্রির কর্মকাণ্ড নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছিলেন ওই বিধায়ক। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার বাঁকুড়ার রাস্তায় চপ, বেগুনি ভাজতে দেখা যায় তাঁকে। ক্রেতার হাতে তেলেভাজা তুলে দেন তিনি। সেই অভিঘাত মিলিয়ে যাওয়ার আগেই সোমবার নতুন দৃশ্যের জন্ম দিলেন তিনি। দুপুর বেলা আচমকাই বাঁকুড়া পুরসভার দফতরে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টি নিয়ে ঢুকে পড়েন নীলাদ্রি। পুরকর্মী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করে সটান ঢুকে পড়েন অলকার ঘরে। সেখানে পুর প্রশাসকের হাতে উপহার হিসাবে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টি তুলে দেন তিনি। নীলাদ্রির বক্তব্য, ‘‘আমরা যে দলই করি না কেন আমাদের মধ্যে দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক যেন অমলিন থাকে।’’ এর পর পুর প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে নীলাদ্রির ‘শংসাপত্র’— ‘‘আগের পুর কর্তাদের থেকে নিশ্চিত ভাবেই আপনার কাজ অনেক ভাল।’’
পুর প্রশাসকের ঘর থেকে বেরিয়ে বিধায়ক দেখা করেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর আর এক সদস্য তথা তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা গৌতম দাসের সঙ্গে। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নীলাদ্রি বলে দেন,‘‘আমি ৫ বছর ধরে এই পুরসভায় কাউন্সিলর ছিলাম। সেই সুবাদে আমি মাঝে মাঝেই পুরসভায় আসি। আজ আমার এলাকার উন্নয়ন মূলক দু’টি প্রকল্পের কাজ নিয়ে এসেছিলাম। আমার দিদির সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করলাম। আগের পুরপ্রধান বা পুরপ্রশাসকের থেকে দিদি কিছুটা ভাল।’’ বিধায়কের দাবি, ‘‘এই সাক্ষাতের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কচকচানি নেই। কোনও ইঙ্গিতও নেই। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার প্রশ্নে আমাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত যে কোনও দলের নেতার কাছে যেতে হলে আমি যাব।’’
এই সাক্ষাৎ নিয়ে অলকার অবশ্য বক্তব্য, ‘‘এর আগে অনেক বিরোধী দলের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হয়েছেন। এই বিধায়ক আমাদের দলে আসতে চাইলে তাঁর জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। আমরা চাইব, তিনিও উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy