পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠিসোঁটা, ইটপাথর নিয়ে হামলার পর তাঁর গাড়িতে কাদাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক (গেরুয়া পাঞ্জাবি পরিহিত) নিখিলরঞ্জন দে-র। —নিজস্ব চিত্র।
দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে যাওয়ার পথে ‘তৃণমূলআশ্রিত’ দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার জেরে তাঁর গাড়িটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারি দাবি করে সন্ধ্যায় কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করলেন বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা। যদিও জেলা তৃণমূলের দাবি, বিজেপি বিধায়ককে নিজের কেন্দ্রে যান না। তাঁকে দেখে ক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন সাধারণ মানুষ।
জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারি এলাকায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক নিখিলরঞ্জন। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পথে লাঠিসোঁটা, ইটপাথর নিয়ে তাঁর গাড়িতে হামলা করেন তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁর গাড়িতে কাদাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ নিখিলরঞ্জনের। বিধায়কের দাবি, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের পর চাঙ্গামারি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছিল তৃণমূলআশ্রিত গুন্ডাবাহিনী। সেটি পুনর্নির্মাণ করেন আমাদের কর্মীরা। আজ (শুক্রবার) বিকেলে সেটির উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। তবে পুলিশের সামনেই তৃণমূলের হার্মাদবাহিনী আমার গাড়ির উপর হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। এমন করে লাঠিসোঁটা চালায় যে গাড়ির কাচ ভেঙে যেতে পারত। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। তাদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় যাব।’’ সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করেন নিখিলরঞ্জন এবং তাঁর দলের কর্মীরা।
বিজেপি বিধায়কের গাড়িতে হামলা হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়। তাঁর কথায়, ‘‘বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র উপর কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বিজেপির এই জনপ্রতিনিধির প্রতি মানুষের প্রশ্ন, কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা? কেন আবাস যোজনার টাকা থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে? বিধানসসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের কেন্দ্রে যাননি তিনি। মানুষের সঙ্গে সংযোগও রাখেননি। স্বাভাবিক ভাবে মানুষ তাঁকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছে। একে হামলা বলে চালিয়ে প্রচার পেতে চাইছেন বিধায়ক। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy