বনগাঁর সভায় শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরে সবেমাত্র নিজের এলাকায় ফিরেছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে বৃহস্পতিবার বনগাঁ শহরের মতিগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিজেপি। হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অথচ, অনুষ্ঠানে দেখা গেল না দলের কিছু নেতা-বিধায়ককে। গত কয়েক মাস ধরে দলের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁদের।
অনুষ্ঠানে আসেননি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব, বাগদার বিধায়ক তথা সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, দলের বনগাঁ পৌর মণ্ডলের (উত্তর) সভাপতি শোভন বৈদ্য- সহ জেলা নেতৃত্বের অনেকেই। মনস্পতি জানিয়েছেন, অসুস্থ থাকায় যেতে পারেননি। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসেছিলাম।’’ শোভনের আবার দাবি, তাঁর পৌরমণ্ডল এলাকায় অনুষ্ঠান হলেও উদ্যোক্তারা আমন্ত্রণ জানাননি।
এর আগে বনগাঁয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষদের কর্মসূচিতেও গরহাজির থেকেছেন এই নেতা-বিধায়কদের কেউ কেউ। সে সব অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরেরাও। তবে এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন অশোক-সুব্রতরা। অনুষ্ঠানের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তাঁকে আবার কয়েক দিন আগেই দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শো-কজ করেছিলেন মনস্পতি। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মনস্পতি ও শান্তনুর অনুগামীদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন প্রকট হচ্ছে।
নেতা-বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা মেজাজ হারান শুভেন্দু। বলেন, ‘‘এটা নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। এটা আমাদের কাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy