সায়ন্তনের গাড়িতে ভাঙচুর। —নিজস্ব চিত্র
হামলার মুখে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হামলা হল সায়ন্তনের কনভয়ে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হল বিজেপি নেতার গাড়িতে। তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলে জেলার বিভিন্ন অংশে পথ অবরোধ শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। কনভয়ে পুলিশের এসকর্ট ভ্যান থাকা সত্ত্বেও কেন আটকানো গেল না হামলা? প্রশ্ন তুলছেন সায়ন্তন নিজেও।
এ দিন দলীয় কর্মসূচিতে ভূপতিনগর যান সায়ন্তন বসু। স্থানীয় থানার ওসি-র সঙ্গেও তিনি দেখা করেন। ৩ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকেই ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা শুরু হয়েছে বলে সায়ন্তনের অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছিল, ভয় দেখানো হচ্ছিল। সে সব নিয়েই ওসির সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। কথা বলে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার কিছু ক্ষণ পরেই হামলা হল।’’
তৃণমূলই হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। উপনির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে যারা এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করতে চাইছে, এ দিনের হামলাও তারাই করেছে, বলছে বিজেপি। পুলিশের গাড়িতে হামলাকারীরা আঘাত করেনি। কিন্তু চার দিক থেকে ঘিরে ধরে লাঠি এবং ইট নিয়ে হামলা চালানো হয় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে। ভেঙে দেওয়া হয় সামনের ও পিছনের কাচ।
পুলিশ এর পরে সায়ন্তন বসুর গাড়িকে হামলাকারীদের কবল থেকে মুক্ত করতে সচেষ্ট হয়। কিন্তু সায়ন্তনের প্রশ্ন, ‘‘পুলিশ তো সঙ্গেই ছিল। এসকর্ট ভ্যান ছিল আমার সঙ্গে। তা হলে হামলাটা হল কী করে?’’
সায়ন্তনের উপরে হামলার খবর ছড়াতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পথে নামে বিজেপি। বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ শুরু হয়। সায়ন্তন ভাঙা গাড়ি নিয়েই ভূপতিনগর থেকে কাঁথির উদ্দেশে রওনা দেন। রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়।
তৃণমূল অবশ্য হামলার অভিযোগ স্বীকার করেনি। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী বলেছেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর শান্তিপূর্ণ জেলা। এখানে এক দল আর এক দলের উপরে হামলা করে না। যা হয়েছে, সেটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আমরা পুলিশকে বলেছি, যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’’ তবে সায়ন্তন বসু কেন ভূপতিনগরে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলে দিয়েছন শিশির অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‘ভূপতিনগরে সম্প্রতি রোগভোগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি হঠাৎ বলতে শুরু করেছে, ওটা রোগে মৃত্যু নয়, তৃণমূল মেরে ফেলেছে। সায়ন্তন বসু এ দিন সেই বাড়িতেই যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু যাঁদের বাড়ি, তাঁরাই বারণ করেছেন। ফোনে তাঁরা সায়ন্তনবাবুকে বলে দেন যে, ওঁর আসার কোনও দরকার নেই। কারণ যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তিনি বিজেপির কেউ নন। আর রাজনৈতিক কারণেও মৃত্যু ঘটেনি। তা সত্ত্বেও সায়ন্তন বসু এ দিন ভূপতিনগরে এসেছিলেন। গোটা জেলাতেই ওঁরা উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy