শান্তনু ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
সিএএ-র বিধি চালু হওয়া নিয়ে কম টালবাহানা হয়নি দেশ জুড়ে। অবশেষে তা চালু হয়েছে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে। দেশের নানা প্রান্তে কয়েক জন আবেদনের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব পেয়েও গিয়েছেন। তবে এ নিয়ে বিতর্ক থামেনি। এই আবহে সিএএ-র পরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এনআরসি চালুর পথে এগোবে বলে বার বারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিরোধী শিবির। ‘বে-নাগরিক’ বলে দেগে দিয়ে বহু মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে মনে করেন তাঁরা। ভোটের প্রচারে এ রাজ্যে সিএএ প্রসঙ্গ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারে উঠে এসেছে।
রাজনৈতিক এই পরিস্থিতিতে এনআরসি চালু নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
১০ জুলাই বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। রবিবার ওই এলাকাতেই মতুয়াদের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন শান্তনু। সেখানে মতুয়া ভক্তদের বলেন, ‘‘আগামী দিনে যদি ভারতবর্ষে কোনও সরকার এনআরসি চালু করে, তা হলেও মতুয়ারা এর আওতায় পড়বেন না।’’ তবে এর জন্য সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব নিতে হবে বলে তাঁর মত। শান্তনুর কথায়, “নাগরিকত্বের জন্য আপনারা আবেদন করুন। শংসাপত্র পাবেন। তখন আগামী দিনে ভারতবর্ষে কোনও সরকার এনআরসি চালু করলেও আইন অনুযায়ী আপনারা তার আওতায় পড়বেন না।”
শান্তনুর কথায় এনআরসি চালুর ইঙ্গিত দেখছেন বিরোধীরা। বিষয়টির সমালোচনা করে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘মতুয়ারা জানেন, তাঁরা ভোট দেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরা সিএএ-তে আবেদন করছেন না বলে শান্তনু এনআরসির ভয় দেখিয়ে আবেদন করানোর চেষ্টা করছেন।’’
শান্তনু এ দিন জানান, আগামী বুধবার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে নাগরিকত্বের আবেদনর জন্য শিবির করা হবে। অনলাইনেও আবেদন করা যাবে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, আবেদন করার পরে যখন সরেজমিন খতিয়ে দেখা হবে, তখন তিনি শংসাপত্র দিয়ে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy