প্রথম লড়াইয়ে হেরেও দ্বিতীয় লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরি রুদ্রনীল ঘোষ।
প্রথম লড়াইয়ে হেরেও দ্বিতীয় লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরি রুদ্রনীল ঘোষ। একে উপনির্বাচন, তা-ও আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবুও পিছু হঠতে চান না ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো ওই অভিনেতা। ওই আসনে জয়ী মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সেটা নিশ্চিত। তা জানার পরেও রুদ্রনীল বলছেন, ‘‘আমি দলের সৈনিক। দল বললে অবশ্যই লড়ব। এ ব্যাপারে আমার কোনও মতামত নেই। আমি নির্দেশ মানতে তৈরি আছি।’’ অভিনেতা এ দাবিও করেছেন যে, তিনি এখনও ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গেই আছেন।
একটা সময়ে মমতার আশীর্বাদধন্য রুদ্রনীলের কি সেই ‘দিদি’র সঙ্গে লড়াইয়ে কোনও অস্বস্তি কাজ করবে না? এমন প্রশ্নে রুদ্রনীলের রাজনৈতিক জবাব, ‘‘আমি ব্যক্তি মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করব না। যে দলে দুর্নীতির পাহাড় রয়েছে তার নেত্রীর বিরুদ্ধে আমি লড়ব। তৃণমূলের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হওয়ার পিছনেও এটাই কারণ ছিল।’’
দীর্ঘ সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ থাকার পরে এই বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত ৩০ ডিসেম্বর দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়ি গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন রুদ্রনীল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, একটা সময় পর্যন্ত হাওড়া জেলার কোনও আসন থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একেবারে শেষ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় বিজেপি ভবানীপুর আসন দেয় রুদ্রনীলকে। প্রচারে অনেক উত্তাপ ছড়ালেও সে ভাবে লড়াই দিতে পারেননি তিনি। তৃণমূলের শোভনদেব পান ৭৩ হাজার ৫০৫ ভোট। সেখানে রুদ্রনীল পান ৪৪ হাজার ৭৮৬ ভোট। ব্যাবধান ছিল ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের।
তবে হেরে গেলেও তিনি ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গেই আছেন বলে দাবি করেন রুদ্রনীল। দল এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করবে কি না তা এখনও ঠিক হয়নি। রুদ্রনীলও বলছেন, ‘‘আমি জানি না, দল আমায় প্রার্থী করবে কি না। যদি দল বলে অন্য কোনও প্রার্থীর হয়ে আমাকে পরামর্শদাতার কাজ করতে হবে, তাতেও আমি রাজি। তবে আমি ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গে ভোটের আগে যেমন ছিলাম তেমন আছি।’’
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে এই বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত বস্তি এলাকায় ত্রাণ বিলির কাজ তিনি করছেন বলে দাবি করেছেন রুদ্রনীল। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও রাজনৈতিক রং না দেখেই কাজ করে যাচ্ছি। দলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সহায়তা পাইনি। ব্যক্তিগত ভাবে যেটুকু সম্ভব করছি। আমার সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও আছেন।’’ এই এলাকায় এখনও অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া বলে দাবি করে রুদ্রনীলের বলেন, ‘‘এখনও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। অনেক বাধার মধ্য দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy