কল্যাণের ভাঙা গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হলেও বিতর্কের কাঁটায় বিদ্ধ বিজেপি। বিকেলের দিকে বিজেপি-র পক্ষে অভিযোগ করা হয়, দলের নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়ির উপরে তৃণমূল হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছেগাড়ি। এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি যখন সরব, তখনই নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আদৌ বিজেপি-র প্রতিনিধি হিসেবে ভবানীপুরে যাননি কল্যাণ। তিনি ছিলেন, বিহারের রাজনৈতিক দল হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার এজেন্ট। সেই পরিচয়েই তিনি ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় যাওয়ার অনুমতি নেন। একই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে থাকা যে গাড়িটি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ সেটির জন্য কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি কমিশনের কাছ থেকে। অন্য একটি গাড়ির অনুমোদন দিয়েছিল কমিশন।
এই ঘটনাক্রমে বিকেল থেকেই কিছুটা উত্তাপ ছড়ায় ভবানীপুরে। কিন্তু দিনের শেষে অভিযোগ তোলা বিজেপি-ই বিপাকে পড়ে যায়। অশান্তি তৈরির চেষ্টার অভিযোগে কল্যাণের আপ্তসহায়ক রাজবীর সিংহকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।প্রশ্ন উঠেছে, গত বিধানসভা নির্বাচনেও মানিকতলা আসনে বিজেপি-র টিকিটে লড়াই করা কল্যাণ কেন বিহারের জিতনরাম মাজিঁর দলের এজেন্ট হয়ে ভবানীপুরে এসেছিলেন? কেনই বা অনুমোদন নেই এমন গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন? এই দুই প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণ বলেন, ‘‘হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা এবং আমরা একই ভাবধারায় বিশ্বাসী দল। আর যে গাড়িটির অনুমোদন কমিশন দিয়েছিল সেটা আচমকা খারাপ হয়ে যাওয়ায় অন্য গাড়ি নিতে হয়।’’ একই সঙ্গে কল্যাণ দাবি করেন, ‘‘ভুয়ো ভোট আটকাতে চেয়েছিলেন বলেই তাঁর উপরে হামলা হয়।’’
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল ভবানীপুরের পদ্মপুকুর এলাকায়? বিজেপি-র বক্তব্য, ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ বোস রোডে কল্যাণের গাড়িতে হামলা হয়। কয়েকজন বাইক নিয়ে এসে গাড়ি আটকে ভাঙচুর চালায়। কল্যাণকেও নিগ্রহ করা হয়েছে বলে বিজেপি-র পক্ষ থেকে নির্বাচনে কমিশনে নালিশ জানানো হয়। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং, প্রশ্ন তুলেছে কল্যাণের গাড়ির অনুমদোন ও পরিচয়েপত্র নিয়ে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কমিশনের উচিত কল্যাণকে শোকজ করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy