বিপাকে কৈলাস। ফাইল চিত্র
দলেরই এক নেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগের মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পুজোর ছুটির মধ্যেই বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি কলকাতা হাই কোর্টে। কৈলাস একা নন, এই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে গিয়েছেন আরএসএস নেতা প্রদীপ জোশী এবং যিষ্ণু বসুও। তিনটি মামলারই শুনানি নবমীর দিনে। পুজোর ছুটির মধ্যেই কেন এই মামলার শুনানি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারী মহিলার আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
২০১৮ সালে বিজেপি-রএক মহিলা নেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে গেরুয়া শিবিরের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। সেই সময় গ্রেফতার হন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমল চট্টোপাধ্যায়। ওই মামলাতেই পরে নাম জড়ায় রাজ্যে বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাসের। সেই সঙ্গে তখন আরএসএস-এর ক্ষেত্র প্রচারক প্রদীপ এবং রাজ্য নেতা যিষ্ণুর বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। চলছিল তদন্তও। এখন সেই মামলায় কৈলাস, প্রদীপ, যিষ্ণুদের গ্রেফতারির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তার জন্যই আগাম জামিনের আবেদন করেছেন ওই তিন জন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি কৌশিক চন্দর বেঞ্চে সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি হবে। কিন্তু পুজোর ছুটির মধ্যে এত তড়িঘড়ি এই মামলার শুনানি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগকারীর পক্ষের আইনজীবী বিকাশ ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘অভিযুক্তরা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী বলেই কি জরুরি ভিত্তিতে শুনানি?’
এই মামলায় বিকাশের সহযোগী আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই তিন জনের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দেরি করে অভিযোগ আনা-সহ বিভিন্ন যুক্তিতে আলিপুর আদালতে আমাদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই আলিপুর আদালতের রায় খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।’’
বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ার পর থেকেই কৈলাস খুব একটা বাংলায় আসেননি। যদিও এখনও তিনি বাংলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব রয়েছেন। তবে আরএসএস-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পূর্ব ভারতের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন প্রদীপকে। আগে কলকাতাই ছিল তাঁর কেন্দ্র। এখন তা বদলে চণ্ডীগড়।
এ বিষয়ে কৈলাসের আইনজীবী পুষ্যমিত্র ভার্গভের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy