রবিবার শিশুদিবসে দিলীপ ঘোষকে আর এক রূপে দেখা গেল। ছবি: টুইটার।
সবাই বলে সংসারের চাপ, দায়িত্ব ও কর্তব্যের চাহিদা ছেলেমানুষি নষ্ট করে দেয়। হয়তো ঠিক। আর সেটা ঠিক বলেই হয়তো সংসার-না-পাতা দিলীপ ঘোষ একটু বেশি সহজে চলে যেতে পারেন শৈশবে। ছেলেবেলার মতো আঁকশি হাতে বেরিয়ে পড়তে পারেন বাগানের ফল পাড়তে, নিজেদের বাগানে।
রবিবার শিশুদিবসে তাঁকে আর এক রূপে দেখা গেল। বিজেপি নেতা হয়ে জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন তো আর পালন করা যায় না। কিন্তু নেহরুর জন্মদিন যখন শিশুদিবস হিসেবে চিহ্নিত তখন সেই দিনটায় শৈশবের প্রকাশ দেখাতে তো আর বিজেপি নেতা হিসেবে কোনও বাধা নেই। তাই নিজের গ্রামে গিয়ে গাছের লেবু পাড়লেন দিলীপ।
ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ান গ্রামেই দিলীপের জন্ম। সেই সময়ে অবশ্য এ গ্রাম ছিল অখণ্ড মেদিনীপুরে। রাজনৈতিক সফরে থাকার মধ্যেই শিশু দিবসে শৈশবের গ্রামে গিয়েছিলেন দিলীপ। ছেলেবেলা ফিরিয়ে আনতে আঁকশি দিয়ে লেবু পাড়লেন। তবে লুফতে পারলেন না। বোঝা গেল, তিনি বড় হয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে দিলীপ বলেন, ‘‘শিশুদিবস বলে আজ মায়ের কাছে গিয়েছিলাম। প্রতি বছর হয় না। মায়ের গাছগাছালির শখ। মায়েরই লাগানো কমলালেবু আর বাতাবি লেবুর গাছ থেকে লেবু পাড়লাম।’’ মা বকেননি? দিলীপের জবাব,‘‘ছোটবেলায় বকুনি অনেক খেয়েছি। এখন আর খাই না। বড় হওয়ার বিড়ম্বনা।’’
Today visited my native place-Gopiballavpur. My village home,brought back memories of my youthful days.
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) November 14, 2021
While picking pomelos and oranges from the trees planted by my mother,I kept going down the memory lane to have a tryst with my childhood. pic.twitter.com/vsiGOvgRR4
তিনি এখন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তবে রাজ্য সভাপতি থাকার সময় থেকেই আদতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক দিলীপ অনেকবারই বুঝিয়েছেন তিনি ডানপিটে ছিলেন একটা সময়। রোজ সকালে নিয়ম করে প্রাতর্ভ্রমণ, শারীরিক কসরত করেন। সুযোগ পেলেই লাঠি ঘোরান। মুখের মতোই নাকি চলে তাঁর হাত। ছেলেমানুষি দেখাতে তিনি যে ভালবাসেন তা দেখা গিয়েছে রাজ্য বিধানসভাতেও। তিনি যখন খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তখন একদিন এক বয়াম লজেন্স নিয়ে চলে গিয়েছিলেন বিধানসভায়। নিজের সঙ্গী তখন মাত্র দুই বিধায়ক। দিলীপ তাই লজেন্স বিলিয়েছিলেন শাসকদল ও অন্য বিরোধী দলের বিধায়কদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy