— নিজস্ব চিত্র।
হোটেলে নাবালিকাদের নিয়ে গিয়ে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে হাওড়ায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা। ধৃতের নাম সব্যসাচী ঘোষ (৫০)। তিনি বিজেপির হাওড়া সদরের কিসান মোর্চার সম্পাদক। এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না শাসকদল তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হোটেলের মালিক এবং আন্দুলের বাসিন্দা সব্যসাচী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর দলবল দীর্ঘ দিন ধরে ওই হোটেলে নাবালিকা মেয়েদের এনে দেহব্যবসা চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে দু’জন নাবালিকা ও চার জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকেও উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইন এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মহিলাদের উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে লিলুয়া হোমে এবং দু’জন নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতের পকসো এজলাসে হাজির করানো হয়। মালিক ও ম্যানেজারের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। বাকিদের জেল হেফাজত।
বিজেপি নেতার গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে গাঁজা পাচারের অভিযোগে সাঁকরাইল থেকে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিজেপি নেতারা নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।’’ তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান। এ দিকে বিজেপির হাওড়া সদরের সম্পাদক ওমপ্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে। সব্যসাচী সরাসরি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে দেখুক পুলিশ। তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হন, তবে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং দলও এ ব্যাপারে আলাদা করে তদন্ত করবে। তবে বিরোধীদলের কর্মীদের পুলিশ হামেশাই মিথ্যে মামলায় জড়াচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy