Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Left

বাম-কংগ্রেসের মিছিলে মূল নিশানায় বিজেপিই

বিমানবাবুদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজনে মূল ভূমিকা ছিল মান্নান, প্রদীপবাবুদের।

প্রতিবাদ: বাম-কংগ্রেসের মিছিলে বিমান বসু-সহ অন্য নেতা-নেত্রীরা। মঙ্গলবার শহরে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

প্রতিবাদ: বাম-কংগ্রেসের মিছিলে বিমান বসু-সহ অন্য নেতা-নেত্রীরা। মঙ্গলবার শহরে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৫৩
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশ এবং এ রাজ্যের নানা জায়গায় ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে যৌথ ভাবে পথে নামল বাম ও কংগ্রেস। প্রতিবাদের বিষয়বস্তুর মধ্যে এ রাজ্যের ঘটনা থাকলেও মিছিলের ব্যানার এবং নেতাদের কথায় মূল নিশানা অবশ্য থাকল বিজেপির দিকেই। নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথদের জমানাকে ‘বর্বরদের রাজত্ব’ আখ্যা দিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু অভিযোগ করলেন, ‘‘বিজেপি থাকলে গণতন্ত্রই থাকবে না!’’

ধর্মতলা থেকে লেনিন সরণি, মৌলালি, মল্লিকবাজার হয়ে পার্ক স্ট্রিট ধরে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মঙ্গলবার বাম ও কংগ্রেসের মিছিলে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। বিমানবাবু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীদের পাশাপাশিই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তীরা।

ছিলেন বামফ্রন্টের শরিক ও অন্যান্য সহযোগী দলের নেতৃত্বও। মিছিল শেষে পোড়ানো হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কুশপুতুল। প্রতিবাদী স্লোগান ওঠে কেন্দ্রে ও অন্য রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই।

আরও পড়ুন: ‘গোর্খাল্যান্ড’ ভুল করেই, কবুল দিল্লির

বিমানবাবুদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজনে মূল ভূমিকা ছিল মান্নান, প্রদীপবাবুদের। এআইসিসি-র নেতারা এই কর্মসূচির বিষয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলে দুই কংগ্রেস নেতাই বলেছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই বামেদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি চলছে। এআইসিসি-র তাতে সম্মতি ছিল, তৎকালীন পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈও সেই প্রক্রিয়ার শরিক ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতাই তাঁরা রাখার চেষ্টা করছেন। কার্যক্ষেত্রে এ দিন মিছিলে মান্নান, প্রদীপবাবুদের সঙ্গে বহু সাধারণ কর্মী থাকলেও কংগ্রেসের যে সব নেতা যে কোনও কর্মসূচিতে ক্যামেরার সামনে থাকেন, তাঁদের কাউকে দেখা যায়নি! বামফ্রন্ট মিছিলের বিষয়ে বিবৃতি দিলেও প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কর্মসূচি নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। যা দুই শিবিরের অনেককেই বিস্মিত করেছে!

আরও পড়ুন: পাহাড় বৈঠকে না রাজ্যের​

বিমানবাবু, মান্নান বা প্রদীপবাবু অবশ্য আরও বেশি করে যৌথ কর্মসূচির পক্ষেই সওয়াল করেছেন। বিমানবাবু বলেছেন, ‘‘হাথরসে যা ঘটেছে, নিন্দার ভাষা নেই। বর্বরদের রাজত্ব চলছে। মানুষের নিরাপত্তা নেই, অধিকার নেই। বিজেপি থাকলে গণতন্ত্রই থাকবে না!’’ সম্প্রতি নদিয়া বা শিলিগুড়িতে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচির উদাহরণ দিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান সব জেলা ও ব্লক স্তরে একই ভাবে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। বিমানবাবুর সুরেই প্রদীপবাবু বলেছেন, ‘‘বাংলার অনেক জায়গাতেও নারকীয় ঘটনা ঘটছে। পুলিশ-প্রশাসনের উপরে মানুষের আস্থা থাকছে না। এ সবের বিরুদ্ধে সর্বত্র যৌথ ভাবেই আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে।

আরও পড়ুন: চাকরি মাওবাদী হানায় নিরুদ্দেশের পরিবারকে​

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy