প্রতীকী ছবি।
বারবার কার্যকাল বাড়ানো হয়েছে রাজ্য বেতন কমিশনের। ওই কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কে ঠিক তথ্য দিচ্ছেন, তা জানতে এ বার তথ্য জানার অধিকার আইনকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিরোধী সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মোট পাঁচ বারের মধ্যে প্রথম তিন বার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছিল বেতন কমিশন। আর বাকি দু’বার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে রাজ্য সরকারের নিজেদের সিদ্ধান্তে।
সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বেতন কমিশন নিয়ে চিৎকার করছে। বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে? ওরা (কমিশন) তো আরও ছ’মাস সময় চেয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যই মানতে নারাজ বিরোধী কর্মী সংগঠনগুলি। তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য বার করতে চাইছে তাদের একাংশ। কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কে ঠিক, কে বেঠিক, তা জানার জন্যই আরটিআই করতে চাই। বেতন কমিশন যদি সত্যিই নিজেদের কাজ শেষ করে থাকে, তা হলে কেন বেতন কমিশন আটকে রাখা হয়েছে?’’
কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার বলেন, ‘‘কমিশনের কাছে অগ্রগতির তথ্য চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারকে কমিশন জানিয়েছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। সম্ভবত সেই কারণেই কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্য।’’
তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর গ্রুপের সদস্য মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন সরকারি কর্মীদের হাত দিয়েই হয়। তা ভেবে বেতন কমিশন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত রূপায়ণের বিষয়টি বিবেচনা করুক সরকার।’’
বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল বলেন, ‘‘রাজ্যের অর্থমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, জিএসটি বাবদ রাজস্ব বেড়েছে। তা হলে তো সরকারের অর্থাভাব অজুহাত মাত্র।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy