সদস্য সংগ্রহ অভিযানে এ রাজ্য থেকে প্রবল সাড়া দেখে উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতারা।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির উত্থান যেন সংগঠনে নতুন গতি এনে দিয়েছে। রাজ্য জুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমে হাতেনাতে তার ফলও পেল গেরুয়া শিবির। সারা দেশে সদস্য সংখ্যার দিক থেকে সমস্ত রাজ্যকে পিছনে ফেলে চমকপ্রদ ভাবে এক নম্বরে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ।
লোকসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে গত ২৩ মে। তার ঠিক তিন মাসের মাথায় ২২ অগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতাদের দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭৭ লাখ মানুষ দলের সদস্য হয়েছেন। পরবর্তী লক্ষ্য ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ।’’ আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে বিজেপির এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান।
গত লোকসভা ভোটের ফল বলছে, বিজেপির ধাক্কায় নিজের গড় উত্তরবঙ্গ থেকে সাফ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এক সময় জোড়াফুলের দখলে থাকা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির মতো জেলা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে ফেলে বর্তমানে বিজেপির গড়। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে সেই জলপাইগুড়িই। তার ঠিক পরেই রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর। গত লোকসভা ভোটে এই জেলাতেও বিজেপির রমরমা দেখা গিয়েছে। লোকসভা ভোটে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। দলের সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে জঙ্গলমহলের ওই তিন জেলা।
আরও পড়ুন: হামলার আশঙ্কায় বাড়ি বদল দিলীপ ঘোষের, বাড়ছে নিরাপত্তাও
সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে এ রাজ্য থেকে এমন সাড়া দেখে উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতারা। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় স্তর থেকে প্রাথমিক ভাবে ৫০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। পরে তা আরও ১০ লাখ বাড়ানো হয়। কেন্দ্রীয় স্তরের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল আমরা তা অতিক্রম করতে পেরেছি। আমি মনে করি, এটা দারুণ সাফল্য। কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা আমাদের বাহবা জানিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ছোঁবে।’’
আরও পড়ুন: অসহযোগিতা করিনি, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, কোর্টে নিজেই বললেন চিদম্বরম
লোকসভা ভোটের সাফল্যেই যে বিজেপির ‘মিশন পশ্চিমবঙ্গ’ শেষ হয়ে যাচ্ছে না, তা-ও ফের এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল সিংহ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনের জন্য এটা একটা ইঙ্গিতবাহী বিষয়। যে জেলায় অত্যন্ত খারাপ হওয়ার কথা সেখানেও ৫০ শতাংশ টার্গেট পূরণ হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা মনে করি, আগামী রাজনৈতিক দিশাকে এই অগ্রগতি নতুন ইন্ধন যোগাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy