মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন বিকাশ
নির্দল প্রার্থীর সম্ভাবনার কথা বলে জল্পনা উস্কে দিয়েছিল তৃণমূল। এ বার রাজ্যসভার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জল্পনায় আরও ইন্ধন যোগ করল বিজেপি। জেতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকলেও বিজেপি শেষ পর্যন্ত প্রার্থী দিলে রাজ্যসভার জন্য ভোট করতে হবে এবং রাজনৈতিক শিবিরের নজর এখন সে দিকেই।
বাংলা থেকে রাজ্যসভায় এ বার শূন্য হচ্ছে পাঁচটি আসন। তৃণমূলের দুই প্রার্থী সুব্রত বক্সী ও দীনেশ ত্রিবেদী বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাম ও কংগ্রেসের যৌথ প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মনোনয়ন পেশ করেছেন বৃহস্পতিবার। তৃণমূলের অন্য দুই প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর ও অর্পিতা ঘোষের আজ, শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা। পাঁচ জনের বেশি প্রার্থী থাকলেই রাজ্যসভার জন্য ভোট অনিবার্য হয়ে উঠবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আজই।
তৃণমূল পঞ্চম আসনে প্রার্থী দেবে কি না, এই নিয়ে জল্পনার মধ্যে খানিকটা আচমকাই বিজেপির পরিষদীয় নেতা মনোজ টিগ্গা এ দিন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে কে তাঁদের প্রার্থী হবেন বা আদৌ প্রার্থী দেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্নে মনোজবাবু বা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেউই স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের। তারা বুধবার ও এ দিন যে তালিকা ঘোষণা করেছে, তাতে অবশ্য বাংলার কোনও উল্লেখ নেই। দিলীপবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এ রাজ্যে রাজ্যসভায় প্রার্থী দেব কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। শুধু একটা মনোনয়ন পত্র তুলে রাখা হয়েছে।’’
রাজ্যসভায় প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে ১০ জন বিধায়ককে প্রস্তাবক হিসেবে সই করতে হয়। বিজেপির নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচিত বিধায়ক এখন ৬। তৃণমূল, কংগ্রেস ও বাম থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, এমন বিধায়কের সংখ্যা ১০। বিজেপির হয়ে কোনও প্রার্থীকে মনোনয়ন পেশ করতে হলে দলত্যাগী বিধায়কদের সাহায্য নিতে হবে। তার পরে জেতার প্রশ্ন! খাতায়-কলমে এক দলে থাকা বিধায়কেরা অন্য দলের প্রার্থীকে ভোট দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রয়োগের সম্ভাবনাও থাকবে। যদিও দিলীপবাবুর মতে, ‘‘সংখ্যা আছে কি না, তা তো বোঝা যাবে ভোটে! এমনিতে তো কারওরই সংখ্যা থাকে না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সকলে দেখেছেন আমরা কত ভোট পেয়েছিলাম। ভোট দিতে গিয়ে কে কোথায় ভোট দেবেন, কে জানে?’’
জল্পনা ভাসিয়ে দিলেও পঞ্চম প্রার্থীর ভাবনা নিয়ে তৃণমূল শিবিরে অবশ্য তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি বদলায়। পরিস্থিতি বুঝেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’ কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী, অসিত মিত্র এবং বাম শিবিরের সুজন চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন বিধানসভার সচিবের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জোটের প্রার্থী বিকাশবাবু। সিপিএমের দলীয় প্রতিনিধি হিসেবে এসেছিলেন সুখেন্দু পানিগ্রাহীও। বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবুর দাবি, ‘‘বিকাশদা’র রাজ্যসভায় যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা! ভোট না হলে আগেই যাবেন, ভোট হলে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy