Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Kailash Vijayvargiya

BJP: কৈলাস বিদায়, রাজ্যে বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বিজেপির দায়িত্বে এলেন বাংলার ভূমিপুত্র সুনীল

বিধানসভা নির্বাচনে আশাভঙ্গ হওয়ার পরে কৈলাসকে আর রাজ্যে দেখা যায়নি। তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি ওঠে বিজেপিতে।

কৈলাসকে সরিয়ে এলেন সুনীল।

কৈলাসকে সরিয়ে এলেন সুনীল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২২ ১৭:৩৯
Share: Save:

বিধানসভা নির্বাচনে আশাভঙ্গের পরে তাঁকে আর সে ভাবে রাজ্যে দেখা না গেলেও এত দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ই ছিলেন বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। তবে সে ভাবে কোনও দায়িত্বই পালন করতেন না তিনি। তাঁর পরিবর্তে কাজ সামলাতেন সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়। এ বার পাকাপাকি ভাবে কৈলাসকে সরিয়ে রাজ্য বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেলেন সুনীল বনসল। বুধবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা সুনীলকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও তেলঙ্গানার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁকে।

এত দিন উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর দায়িত্বে থাকা সুনীল দীর্ঘ দিন থেকেই যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বিজেপির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আদতে সুনীল বাংলার ভূমিপুত্র। দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের কাছে। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময়েই আরএসএস-এর পক্ষ থেকে প্রাক্তন সঙ্ঘ প্রচারক সুনীলকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে ওই রাজ্যে পাঠানো হয়। এর আগে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও উত্তরপ্রদেশে কো-ইনচার্জ হিসাবে কাজ করেন। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সাফল্যে সুনীলের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। গেরুয়া শিবিরে শাহের ভরসার পাত্র হিসাবে পরিচিত সুনীলই এ বার বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক হলেন।

কৈলাসকে নিয়ে এই রাজ্যে অনেক অভিযোগ ছিল বিজেপি নেতাদের মধ্যে। বিধানসভা নির্বাচনের পরে প্রকাশ্যে নিন্দায় সরব হন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। অন্য দল থেকে নেতাদের বিজেপিতে নিয়ে আসা এবং প্রার্থী করার কৈলাস-নীতিতেই বিজেপির ভরাডুবি হয় বলেও অনেকে সমালোচনা করেন। কৈলাসও সেই থেকে বাংলায় আসেননি। রাজ্য কার্যকারিণী বৈঠকে আসার কথা থাকলেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ হতে পারে এমন ভয় ছিল। পরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। সেটাও দিল্লি থেকে নড্ডার উপস্থিতিতে, কিছু ক্ষণের জন্য। মধ্যপ্রদেশের নেতা কৈলাস বাংলায় সময় দিচ্ছেন না বলে অন্য কোনও অভিজ্ঞ নেতাকে রাজ্যের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হোক বলে বিজেপির অন্দরে অনেক দিন থেকেই দাবি উঠছিল। এ নিয়ে নড্ডার কাছে দরবারও করেন রাজ্যের শীর্ষ নেতারা। সেই দাবিই অবশেষে মেনে নিলেন নড্ডা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE