বীরভূমের সিপিএম নেতা সুভাষচন্দ্র দে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সোমবার দিনভর এবং মঙ্গলবার সকালে অজয় নদে তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি নানুরের খুন হওয়া প্রাক্তন সিপিএম নেতা সুভাষচন্দ্র দে-র মাথা এবং দুই পা। সেই মাথা ও পা মঙ্গলবার বিকেলে পাওয়া গেল খুনের অভিযোগ ধৃত দম্পতির বাড়ির পিছনের ধানখেতে! তার আগে পর্যন্ত মাথা কোথায় ফেলেছে, তা নিয়ে পুলিশকে বারবার বিভ্রান্ত করেছে মূল অভিযুক্ত শেখ মতিউর রহমান।
নানুরের বাসাপাড়ার বাড়ি থেকে ১৮ অক্টোবর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পরে, সোমবার সকালে দুবরাজপুরের খোঁয়াজ মহম্মদপুর গ্রামের এক পুকুর ঘেঁষা ধানখেতের মধ্যে পুঁতে রাখা সুভাষবাবুর খণ্ডিত দেহ (মাথা-পা বাদে) উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, স্ত্রী সোনালি বিবির সঙ্গে বছর আটান্নর সুভাষবাবুর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাঁকে খুন করে মতিউর।
বিমা করানোর নাম করে মতিউর সুভাষবাবুকে শুক্রবার বাড়িতে ডাকায় সোনালিকে দিয়ে। খুনের পরে স্ত্রীর সাহায্যেই দেহ টুকরো করে এক এক জায়গায় ফেলে। সুভাষবাবুর মোটরবাইক রেখে আসে নানুরের এক তৃণমূল নেতার পলিটেকনিক কলেজের সামনে। ধড় কোথায়, পুলিশি জেরায় তা ঠিকঠাক বললেও নিহতের দুই পা ও মাথা ইলামবাজারের কাছে অজয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় মতিউর।
পুলিশের দাবি, ধৃত জানায়, ‘দৃশ্যম’ সিনেমা দেখে পুলিশকে ঘোল খাওয়ানোর ভাবনা মাথায় আসে তার। ‘দৃশ্যম’-এর মুখ্য চরিত্র বিজয় সালগাওকরের (অজয় দেবগণ) মেয়ের নগ্ন ছবি তুলে নেয় গোয়া পুলিশের আইজি মীরা দেখমুখের (তব্বু) ছেলে। তাকে খুন করে বিজয়ের মেয়ে। বিজয় দেহ বাড়িতে পুঁতে রাখেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে খুনের সময় তাঁরা বাইরে ছিলেন, এমন প্রমাণও জোগাড় করেন। বিজয়ের বাড়ির মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় কুকুরের দেহাবশেষ। কারণ, সুযোগ বুঝে আইজি-র ছেলের দেহ বিজয় পুঁতে দেয় নির্মীয়মাণ থানার নীচেই!
বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘সিনেমায় যে ভাবে দেহ লোপাটের চেষ্টা দেখানো হয়, সেটা এর সঙ্গে পুরো মেলে না। এটা ঠিক, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে অভিযুক্ত নানা ফন্দি এঁটেছিল। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy