ধর্মতলায় তৃণমূলের মহিলা মোর্চার ধর্না। ছবি: ফেসবুক।
বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতায় বিজেপির বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার ধর্না অবস্থান শুরু করল মহিলা তৃণমূল। মঙ্গলবার ধর্মতলার গাঁধী মূর্তির পাদদেশে এই ধর্না কর্মসূচি শুরু হয়। উল্লেখ্য, ২৯ অগস্ট ধর্মতলায় ছাত্র সমাবেশে বক্তৃতা করতে এসে দলের মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে এই ধর্না কর্মসূচি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বার সেই নির্দেশ মেনেই পথে নামল মহিলা তৃণমূলের সদস্যরা। এই কর্মসূচিতে চন্দ্রিমা-কাকলি ছাড়াও অংশ নিয়েছেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, দক্ষিণ কলকাতা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, প্রাক্তন বিধায়ক মালা সাহা প্রমুখ। শশী বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘নারী শক্তি’ সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও সেই সন্ধ্যাতেই, দেখলাম গুজরাত সরকার ১১ জন দোষীকে ছেড়ে দিয়েছে, যারা বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় শাস্তি পেয়েছিল। দেশের আইনানুযায়ী, আপনি যখন কোনও বন্দির জন্য মকুবের কথা বিবেচনা করেন, তখন আপনি অবশ্যই ধর্ষণ ও পাচারের জন্য শাস্তি প্রাপকদের সাজা মকুবের কথা বিবেচনা করবেন না। আমরা বুঝতে পারছি না কী ভাবে এটি সম্ভব। তার পর থেকেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা বার বার দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছি।”এই কর্মসূচিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘রাজ্য বিজেপি এখন তিন ভাগে বিভক্ত। দিলীপবাবু এখন হতাশায় ভুগছেন। নতুন সভাপতি সুকান্তবাবুকে আরও পরিণত হতে হবে। আর বিরোধী দলনেতা ঠিক করেই উঠতে পারছেন না, তিনি কী করবেন। তিনি কি সুকান্তর সঙ্গে থাকবেন, না কি নিজে একটি শক্তি হিসেবে কাজ করবেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy