কেউ চাকরির লোভনীয় সুযোগের আড়ালে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে, কেউ বা লগ্নি করতে গিয়ে ঠকেছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিয়েছে প্রতারকেরা। একের পর এক এমন ঘটনা ঘটেছে। এখনও ঘটে চলেছে। ইতিমধ্যেই কয়েক জন প্রতারিতের টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে বিধাননগরের পুলিশ। সব মিলিয়ে সেই অঙ্ক ২ কোটি ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৫৭৪। ওই টাকা যাঁদের, সোমবার থেকে তাঁদের তা ফেরত দেওয়ার
কাজ শুরু করল বিধাননগর কমিশনারেট।
তারা দাবি করেছে, অনলাইনে প্রতারিত ৩০ জন ভুক্তভোগীর টাকা উদ্ধার করে তা ফেরত
দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাঁদের খোয়া যাওয়া অর্থের পরিমাণ ওই বিরাট অঙ্কের টাকা। এ দিন বিধাননগর পুলিশের সদর দফতরে কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান কুলদীপ সানোওয়ানি,
অতিরিক্ত উপ-নগরপাল মণীশ জৈন সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাইবার থানায় দায়ের হওয়া বহু মামলার মধ্যে ৩০টির দ্রুত কিনারা করা গিয়েছে। ৩২ লক্ষেরও বেশি টাকা খোয়ানো
মানিকচন্দ্র রায় কিংবা ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা প্রতারিত হওয়া সুভাষচন্দ্র সরকারের হাতে প্রাপ্য টাকার চেক এ দিন তুলে দেয় পুলিশ। অন্য প্রতারিতেরাও টাকা ফেরত
পাবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
কয়েকটি ঘটনা জানাতে গিয়ে পুলিশ জানায়, অনলাইনে চাকরি খোঁজার সময়ে টেলিগ্রাম অ্যাপ মারফত ধাপে ধাপে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন এক যুবক। আদতে তিনি প্রতারিত হন। সল্টলেকে ইই ব্লকের বাসিন্দা এক তরুণী অনলাইনে বিনিয়োগ করতে গিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা খোয়ান। এমন আরও উদাহরণ রয়েছে। পুলিশকর্তারা জানান, তাঁরা অনলাইনে আদানপ্রদানের ব্যাপারে সব সময়ে নাগরিকদের সতর্ক করছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)