ভিড় হটিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
বম্ব গিরা, বম্ব গিরা...।
জনা দুয়েকের চিৎকারেই কাছারি রোডের উল্টো দিকের বস্তির সামনে জড়ো হওয়া ভিড় ছত্রখান। ছুটল পুলিশ, র্যাফও। তার মধ্যেই নানা মুখে প্রশ্ন, ‘‘কাঁহা গিরা?’’ কেউ কেউ বললেন, ‘‘উল্টো দিকের গলিতে।’’
কোথায় কী! কাছারি রোডের উল্টো দিকের গলি সুনসান। কয়েক জনের দাবি, নয়া বাজারের কিছু যুবক বোমাবাজি করতে এসেছিল বলে তাঁরা শুনেছেন। কিন্তু কেউ দেখেননি।
এ ভাবেই ভাটপাড়ার অশান্তিতে জুড়ছে গুজবও। কাঁকিনাড়ার কাছারি রোড, মানিকপির এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পুলিশ খালি তাঁদের মহল্লাতেই টহল দিচ্ছে, তল্লাশি হচ্ছে। নয়াবাজারে বোমাবাজি হলেও যাচ্ছে না। কিন্তু নয়াবাজারের লোকেরা নিজেদের এলাকায় বোমাবাজি করবেন কেন? এ প্রশ্নের উত্তর আসে না কাঁকিনাড়া বাজারের জটলা থেকে। জটলার দাবি, ঝামেলা ওখানেই হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের। রয়েছেন রামবাবুর মা রেখা সাউ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
শুক্রবারের তুলনায় শনিবারের কাঁকিনাড়া সকাল থেকে শান্তই ছিল। বিকেলে ওই গুজবের পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে জনতা অবশ্য তেড়ে গিয়েছে। পাল্টা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেছে পুলিশও। তাতে পড়ে গিয়ে জখম হন কয়েক জন। এক জনের মাথাও ফাটে। পুলিশ তা মানেনি।
সকালে কংগ্রেস এবং সিপিএমের প্রতিনিধি দল নিহত রামবাবু সাউ এবং ধর্মবীর সাউয়ের বাড়িতে আসে। নিহতের পরিবারের কাছ থেকে তাঁরা বৃহস্পতিবারের ঘটনা শোনেন। কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান এবং সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা চাই, শান্তি ফিরুক। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার এলেও অশান্তি কমেনি। পুলিশ কেন গুলি করে লোক মারবে? নিরপেক্ষ সংস্থা তদন্ত করুক।”
ধর্মবীর সাউয়ের স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দল। শনিবার কাঁকিনাড়ায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
দুপুরে ওই এলাকায় সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে বিজেপির তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে। তাঁরাও দুই নিহতের বাড়িতে গিয়ে অর্থ সাহায্যের আশ্বাস দেন। দু’টি পরিবারের এক জন করে সদস্যের চাকরির আশ্বাস দেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। পরে অহলুওয়ালিয়া বলেন, “সর্বত্রই ভোট হয়েছে। অশান্তি শুধু হচ্ছে বাংলায়। পুলিশ গুলি করে লোক মারছে। সরকারের কোনও প্রতিনিধি এখনও নিহতদের বাড়িতে আসার সময় পাননি। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy