গণনা কেন্দ্রে ছাপ্পা হওয়া সত্ত্বেও জিতেই গেলেন কৃষ্ণগ়ঞ্জের নির্দল প্রার্থী নীলাদ্রি সুকুল। স্থানীয় শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০১ নম্বর বুথে তৃণমূলের পার্থ ঘোষকে তিনি ২২০ ভোটে হারিয়েছেন। গণনা কেন্দ্রে ঢুকে গোলমাল পাকানো, সিসি ক্যামেরা ভাঙা ও ছাপ্পায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পার্থ ও তাঁর সঙ্গী সাহেব ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার নদিয়ার মাজদিয়ায় সুধীরঞ্জন লাহিড়ী কলেজে গণনার সময়ে কয়েক জন নির্দল প্রার্থী এগিয়ে গেলে কিছু যুবক ঢুকে তাঁদের ব্যালটে বাড়তি ছাপ মেরে সেগুলি বাতিল করে দিতে থাকে। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হলেও ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। এ নিয়ে বাইরে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। বোমা পড়ে। পুলিশ এসে লাঠি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
নীলাদ্রির অভিযোগ, শুধু তৃণমূল কর্মীরা নন, প্রশাসনের তরফে গণনা কেন্দ্রে চা-জল দেওয়ার জন্য নিযুক্ত কয়েক জন কর্মীও ছাপ্পা দেওয়ায় হাত লাগিয়েছিলেন। যদিও এ দিন পর্যন্ত তেমন কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি বলে প্রশাসনের কর্তাদের দাবি। আর কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। তবে আপাতত স্বস্তিতে নীলাদ্রি। বলছেন, ‘‘ওরা ছাপ্পা না মারলে আরও বড় ব্যবধানে জিততাম।’’
তৃণমূলের নদিয়া জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এ সব আমাদের করতে হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন দেখে রাজ্যের মানুষ এমনিই দু’হাত তুলে আমাদের আশীর্বাদ করেছেন।’’ তা হলে তাঁদের দলের দু’জনকে ধরল কেন পুলিশ? গোলাপি জামা পরা সাহেব ঘোষের ছাপ্পা দেওয়ার ছবি তো দেখাও গিয়েছে! গৌরীর দাবি, ‘‘ওই ছেলেটি আমাদের দলের কেউ নয়। আর প্রার্থীকে পুলিশ ভুল করে ধরেছে। তদন্তেই প্রমাণ হযে যাবে যে উনি নির্দোষ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy