প্রতীকী ছবি।
হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়াল রাজ্য।
ভিন্ রাজ্যে চাহিদা কম থাকায় রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এ বার ১৫ শতাংশেরও বেশি আলু থেকে গিয়েছে। তার উপর, পর পর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে আলু চাষের মরসুমও অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের ৪৬০টি হিমঘরে আলু সংরক্ষণের সময়সীমা বাড়ানো ছাড়া সরকারের হাতে বিকল্প রাস্তা খোলা ছিল না বলে মত চাষিদের। তবে বাড়তি সময়ের জন্য আলু রাখতে সরকারি ভাবে যে ভাড়া (কুইন্টাল প্রতি প্রায় ১৮ টাকা) ধার্য হয়েছে, তা হিমঘর-মালিকদের একাংশ ন্যায্য বলে মনে করছেন না।
রাজ্যের হিমঘর মালিক সংগঠনের অন্যতম কর্তা পতিতপাবন দে বলেন, ‘‘হিমঘরে আলু রাখার সময়সামী বাড়িয়ে রাজ্য সরকার ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। কিন্তু, যে ভাড়া ধার্য করা হয়েছে, তা কম। এখন হিমঘর চালানোর খরচ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। ভাড়া অন্তত কুইন্টাল প্রতি ২২ টাকা হওয়া উচিত ছিল।’’ রাজ্যের আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক কারণে চাষ পিছিয়ে যাওয়ায় সরকার অন্তত ১৫ দিনের হিমঘর ভাড়া মকুব করতে পারত। কারণ, হিমঘরে অনেক ছোট চাষির বীজআলু রয়েছে। চাষের খরচও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে।’’
কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘হিমঘর-মালিকেরা বৈঠকে তাঁদের কোনও দাবির কথা জানাননি। কিছু জানালে তো বিবেচনার প্রশ্ন আসে।’’ কোনও কোনও বছর আলুর দাম পড়ে গেলে রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এই সময়ে এক-দেড় লক্ষ টন আলু থেকে যায়। অল্প কিছু দিন সরকার হিমঘরে আলু রাখার সময় বাড়ায়। তার পরও আলু থেকে গেলে হিমঘর রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা হয়। তখন হিমঘরের শেডে আলু বার করে দেওয়া হয়। কিছু দিন অপেক্ষার পরে চাষি বা ব্যবসায়ীরা না-সরালে সরকারি বিধি অনুযায়ী আলু নিলাম করে দেওয়া হয়।
এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। বহু চাষি বীজআলুও হিমঘরে রেখেছেন। এখনও অনেক জায়গায় চাষের জমি তৈরি না-হওয়ায় চাষিরা বীজআলু বার করছেন না। ভিন্ রাজ্যেও চাহিদা কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy