পানিফলায় বেহাল উষ্ণ প্রস্রবন কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।
স্কুল পড়ুয়াদের জন্য আসানসোল শিল্পাঞ্চলে দু’টি শিক্ষামূলক ভ্রমণকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে বর্ধমান জেলা পরিষদ। তার মধ্যে একটি বারাবনির পানিফলায়। অন্যটি মাইথন লাগোয়া এলাকায়। এর জন্য পরিকল্পনাও তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু। প্রকল্পটিকে কার্যকর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখনই আসানসোল-দুর্গাপুরে এসেছেন, তখনই তিনি এই দুই শিল্পাঞ্চলকে পর্যটনমুখি করে তোলার কথা ঘোষণা করেছেন। লোকসভা ভোটের প্রচারে এসেও একই কথা বলে গিয়েছিলেন তিনি। জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছানুসারেই পানিফলা ও মাইথনে দু’টি শিক্ষামূলক ভ্রমণকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছি।” তিনি আরও জানান, জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বছর আগে বারাবনির পানিফলায় একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। প্রথমে সেখানে একটি জঙ্গলঘেরা জলা জমি ছিল। এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান, মাটির তলা থেকে অবিরাম বেরিয়ে আসছে গরম জল। এর পরেই বাসিন্দাদের দাবি মেনে জেলা পরিষদ পানিফলা উষ্ণ প্রস্রবণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে পর্যটনকেন্দ্রটি। পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য আবাসনও তৈরি করা হয়। আশপাশের ১৯টি পরিবার প্রায় ৩৫ বিঘা জমি দেন সেটি গড়ে তোলার জন্য। পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতিও শুরু হয়। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে বছর পাঁচেক পরেই এটি ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়।
জেলা সভাধিপতি দেব টুডু জানান, মাটির তলা থেকে কেন ক্রমাগত উষ্ণ প্রস্রবন বেরিয়ে আসছে, এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী তা অবশ্যই স্কুল পড়ুয়াদের কাছে শিক্ষনীয়। এই বিষয়ে পড়ুয়াদের জ্ঞান লাভের পাশাপাশি ভ্রমণ পিপাসুদের কাছেও এটি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মাইথন বরাবরই একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণ কেন্দ্র। পর্যটকেরা এখানে প্রতি বছরই ভ্রমণে আসেন। কিন্তু স্কুল বা কলেজ পড়ুয়াদের জন্য এখানে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেই। তাদের শিক্ষামূলক ভ্রমনের জন্য এখানে সহজলভ্যে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে চায় জেলা পরিষদ। তাই এখানে একটি যুব আবাসও গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে।
জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন এই দুই পর্যটন কেন্দ্রে ছাত্র-যুবদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হোক। আমরা সেই কথা মনে রেখে পরিকল্পনা করেছি।” তিনি জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসের গোড়া থেকেই শিল্পাঞ্চলে পর্যটনের মরসুম শুরু হয়ে যায়। তাই আগামি কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কিছুটা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy