আসানসোলে তোলা নিজস্ব চিত্র।
গত বছর জুলাইয়ের শেষ দিকে শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচতে চলন্ত জনতা এক্সপ্রেস থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত এক বছর পঁচিশের তরুণী। এই রকম ঘটনা এড়াতেই মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিতে শিবিরের আয়োজন করল পূর্বরেল আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফ। শনিবার থেকে ওই জনসচেতনতা ও প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে আসানসোল মহিলা কলেজে। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতি সপ্তাহে আসানসোল ও দুর্গাপুরের একটি করে কলেজে শিবির করা হবে।
পূর্বরেল আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফের সিনিয়র সিক্যুরিটি কমিশনার অমরেশ কুমার জানান, “ট্রেনে মহিলাদের উপর অস্বাভাবিক এড়াতেই তাঁদের এই উদ্যোগ। প্রখমে মহিলা কলেজগুলিতে পরে সমস্ত কলেজেই শিবির চালানো হবে।” অমরেশবাবু আরও জানান যে কোনও ডিভিসনে মহিলা যাত্রীরা বিপদে পড়লে আরপিএফের সাহায্য পেতে যেন ১৩২২ নম্বরে ফোন করেন।
শনিবার আসানসোল মহিলা কলেজে আয়োজিত শিবিরে উপস্থিত প্রায় তিনশো ছাত্রী ও শিক্ষিকা। তিনজন আরপিএফ ইন্সপেক্টর তাঁদের সামনে আত্মরক্ষার বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেন। তাঁরা মহিলাদের ফাঁকা কামরায় ওঠা থেকে বিরত থাকতে বলেন। শুধুমাত্র রেল অনুমোদিত ব্যাজ পরা হকারদের কাছ থেকেই খাবার কিনতে অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও অপরিচিত কাউকে মোবাইল নম্বর দেওয়া, ভিক্ষুকের সামনে পার্স খোলা ইত্যাদি থেকেও মহিলা যাত্রীদের বিরত থাকার পরামর্শ দেন ওই ইন্সপেক্টররা। আরপিএফ সূত্রে পরামর্শ আত্মরক্ষার জন্য মহিলারা ব্যাগে লঙ্কার গুঁড়োর স্প্রে-ও রাখতে পারেন।
আরপিএফের এই উদ্যোগকে স্বাগচ জানিয়েছেন কলেজের ছাত্রী ও শিক্ষিকারাও। তবে নিত্য যাত্রী সুতপা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “শুধু কলেজে নয়, শিবির করা হোক জনবহুল স্টেশন গুলিতেও।” অমরেশবাবু জানান, মহিলা ও পুরুষ আরপিএফ নিয়ে আট জনের একটি দল তৈরি করে সর্বত্রই এই ধরণের শিবিরের আয়োজন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy