আউশগ্রামে সভা। নিজস্ব চিত্র
যাঁরা নিজেদের দলের চেয়ে বড় মনে করবেন, তাঁরা মানুষ অবধি যাওয়ার সুযোগ পাবেন না। দলই তাঁদের ঠিক সময় বসিয়ে দেবে, রবিবার আউশগ্রামের গেঁড়াইয়ে একটি অনুষ্ঠানে এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, ‘অভিষেকদা (বন্দ্যোপাধ্যায়) যাওয়ার পরে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি আজকে ইস্তফা দিয়েছেন। কেউ যদি ভাবেন আমরা তৃণমূল করি। তৃণমূল আমাদের জায়গা দিয়েছে, কিন্তু আমরা আমাদের নেতার কথা, প্রশাসনের কথা অমান্য করে ধমক-হুমকি দেব, তার যেন মাথায় থাকে, বাপেরও বাপ থাকে।’’ বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা যে মানুষকে ধমক-চমক দেন, সেটা উপরতলার নেতারা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে এর প্রভাব পড়বে বলেও দাবি তাঁদের।
এ দিন পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়েও দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেন তিনি। সায়নী বলেন, ‘‘যাঁরা কাজ করেনি, যাঁরা মানুষের পাশে থাকেননি, যে কোনও ভাবেই হোক তাঁরা টিকিট পাবেন না। দল তাঁদের সমর্থন করবে না। আমাদের দলে কেউ হুমকি দিলে, চমকানোর চেষ্টা করলে, তাঁর আর পদ থাকবে না। প্রশাসনিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলীয় ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবস্থা নেবেন।’’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে ‘ঠোকাঠুকি’ নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ারই পরামর্শ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার, মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা।
বিজেপি তারকাদের নিয়ে এলেও মানুষের সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে বলে দাবি করেন তিনি। সায়নীর কথায়, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তী যত আসবেন, ওদের ভোট কমবে।’’ যদিও বিজেপির পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তথা আউশগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শ্যামল রায় বলেন, ‘‘এক সময় মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরেছেন। তৃণমূলের দুর্নীতি দেখে তিনি সরে এসেছেন। তিনি বাংলার গর্ব। তাকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy