প্রতীকী ছবি।
মাকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির মণ্ডলগ্রামের ওই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তাপস সরকারকে গ্রেফতার করেছে। প্রতিবেশী ও পরিজনেদের দাবি, গত এক মাস ধরে অভিযুক্ত মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন ভোর ৫টা নাগাদ বিড়ি খাওয়া নিয়ে বন্দনাদেবীর (৫২) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ছেলের। অভিযোগ, তখনই বারান্দায় থাকা কাটারি তুলে ঘরের ভিতর গিয়ে মায়ের গলায় কোপ মারে তাপস। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরের ভিতরেই রক্তক্ষরণে বন্দনাদেবীর মৃত্যু হয়। এর পরে বাড়ি লাগোয়া জেঠার বাড়িতে গিয়ে ‘বড়মা’কে ডাকেন ওই যুবক। তাঁদের দাবি, তাপস বলেন, ‘মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখনই বর্ধমানের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে’। জেঠা সুনীল সরকারের দাবি, “তাপসের সঙ্গে বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখি, বউমা রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর বারান্দার উপরে পড়ে রয়েছে।’’
অ্যাসবেস্টসের চাল দেওয়া মাটির বাড়িতে থাকত ওই পরিবার। তারই একটি ঘর থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহটি টেনে এনে বাইরে রাখা হয়েছে, দাবি পুলিশের। নিহতের ভাইপো রণজিৎ সরকারের দাবি, “খুন করার পরে কাকিমার দেহ ঘর থেকে টেনে এনে বাইরে রাখা হয়েছিল। তার পরেও ঠান্ডা মাথায় সকলের সঙ্গে কথা বলেছে তাপস।’’ খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিস। কাটারিটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, তাপস টোটো চালান। তবে ‘লকডাউন’-এর পর থেকে বাড়িতেই রয়েছেন। মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়েও পড়ছিলেন। এক আত্মীয় অতসী সরকারের দাবি, “মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে পালাত ও। আবার ধরেবেঁধে নিয়ে আসা হত। মানসিক চিকিৎসাও চলছিল। গত দু’-তিন দিন বাড়ির বাইরে বার হয়নি।’’
ছেলের অসুস্থতার কথা মেনে বন্দনাদেবীর স্বামী সুনীল সরকারের দাবি, “ঘরের ভিতর ঝাঁট দিচ্ছিল তাপসের মা। আর তাপস ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় বসে বিড়ি খাচ্ছিল। এই দেখে আমি গোয়ালবাড়ি চলে যাই। কিছুক্ষণ পরে খবর পেয়ে এসে দেখি, তাপসের মা মরে পড়ে রয়েছে। আর তাপস পাশে দাঁড়িয়ে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ছেলে দশ মিনিটে এক তাড়া বিড়ি শেষ করে দিত। সে জন্য ওর মা বিড়ি লুকিয়ে রাখত। হয়তো সে সব অশান্তির জেরেই এমনটা হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy