প্রতীকী ছবি
‘ফেসবুক’-এ ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আসানসোলের অশোককুমার কানু নামে বছর ২৪-এর এক যুবকের। ওই যুবতীর সঙ্গে দেখা করতে অশোক প্রায় দেড় মাস আগে জামশেদপুর যান। তার পরে থেকে অশোকের খোঁজ মিলছে না— পুলিশের কাছে এমনটাই জানিয়েছে যুবকের পরিবার।
‘নিখোঁজ’ যুবক আসানসোলের বড়তোড়িয়া বিহারীপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বাবা আকালবাবু পেশায় ইসিএলের নরসমুদা কোলিয়ারির কর্মী। তিনি গত ২০ ফেব্রুয়ারি আসানসোল দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ঝাড়খণ্ডের ‘পরেশনাথ মন্দির যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরোন তাঁর ছেলে। অশোক বাড়ি না ফেরায়, ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফোন করলে দেখা যায়, মোবাইল বন্ধ। যুবকের পরিবার জানায়, এর পরে, তাঁরা অশোকের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সূত্রে জামশেদপুরের ওই যুবতীর সঙ্গে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় আলাপ এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা জানতে পারেন।
পারিবারের দাবি, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জামশেদপুরের ‘জুবিলি পার্ক’-এ যুবতীটির সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার ছবি অশোক তাঁর বন্ধুদের পাঠিয়েছিলেন। বন্ধুদের এ-ও জানান, ওই রাতে যুবতীর সঙ্গে জামশেদপুর থেকে বিহারের পটনাগামী বাসে চড়েছেন। ওই যুবকের বন্ধুদের দাবি, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টো নাগাদ অশোক পটনা থেকে অপিরিচত চার যুবকের সঙ্গে একটি গাড়িতে চেপে যাওয়ার ‘ভিডিয়ো রেকর্ডিং’ তাঁদের পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে থেকেই তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি আসানসোলের বন্ধুদের।
যুবকের পরিবার জানায়, জামশেদপুরে যুবতীর বাড়ি গেলে, সেখানে তাঁদের জানানো হয়, ওই যুবতী পেশায় নৃত্যশিল্পী। পাঁচ-ছ’মাস বাদে বাড়ি ফেরেন। কয়েকদিন থেকে আবার বেরিয়ে যান। কোথায় যান, তা যুবতীর পরিবারের সদস্যেরা জানেন না বলে দাবি করেছেন।
আকালবাবুর জামাই চন্দন কুমার জানান, গত ২০ মার্চ ওই যুবতী তাঁর ‘হোয়াটস অ্যাপ’-এ কিছু ‘অডিয়ো রেকর্ডিং’ পাঠান। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রেকর্ডিংগুলিতে ওই যুবতীকে চার জন যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। ফোনে ওই যুবকদের কাছে ‘ছেলেটিকে ফেরত দিতে’, ‘কোথায় ছেলেটি রয়েছে’, ‘ও জীবিত কি না’, ‘ডিএনএ টেস্ট হয়েছে কি না’— এমন নানা কথা বলতে শোনা যাচ্ছে ওই যুবতীকে। ওই রেকর্ডিংয়েই শোনা যাচ্ছে, এক জন যুবতীটিকে বলছেন, “তোমার কোনও চিন্তা নেই... ওকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তোমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে...।”
এই পরিস্থিতে যুবকের বাবার বক্তব্য, ‘‘আমরা অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছি। ছেলে আদৌ ঠিক আছে কি না, বুঝতে পারছি না। কোথাও ওকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে কি না, ওর কোনও ক্ষতি করা হয়েছে কি না, তা-ও বুঝতে পারছি না।’’ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে। এর বেশি কোনও মন্তব্য করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।’’ আসানসোল দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে যুবতীর খোঁজ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy